মঙ্গলবার,

২১ মে ২০২৪,

৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মঙ্গলবার,

২১ মে ২০২৪,

৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Radio Today News

শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনে মালিকদের শাস্তি বাড়ছে: আইনমন্ত্রী

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭:২৯, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

Google News
শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনে মালিকদের শাস্তি বাড়ছে: আইনমন্ত্রী

শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনে মালিকদের শাস্তি বাড়ছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে জরিমানার পরিমাণ ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

আইন লঙ্ঘনে মালিকদের শাস্তি বাড়ানোর বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কারখানার মালিকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে, তাদের বিচার হচ্ছে। শ্রমিক অধিকার যারা লঙ্ঘন করে তাদের সাজার বিষয়ে আইনে একটি ধারা আছে। সেখানে ৫ হাজার টাকা সাজা ছিল, এখন (আগের সংশোধনীতে) সেটিকে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। মালিক-শ্রমিক ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ করে এখন হয়তো বা ২৫ হাজার টাকা করা হবে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইএলও ‍থ্রেশহোল্ড কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছে। আগে ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছিলাম; যেখানে ৩ হাজার বা তার উপরে শ্রমিক আছে সেখানের জন্য প্রযোজ্য হওয়ার কথা। এটা আমরা সংশোধন করে সকল ফ্যাক্টরির জন্য ১৫ শতাংশ থ্রেশহোল্ড অর্থাৎ ১৫ শতাংশ শ্রমিক রাজী হলেই একটি ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে পারবে আমরা আইএলওর সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছি এবং সেটা অন্তর্ভুক্ত করছি। ১৫ শতাংশে তারা (আইএলও) এখন রাজী হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য ১০ শতাংশে যাওয়া।’

 শ্রম আইন সংশোধনের আগে আইএলও প্রতিনিধিদের সঙ্গে কয়েকটি বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এসব বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।

শ্রম আইন নিয়ে বিদেশিদের কথা বলতে হয় কেন- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো দরকষাকষির মধ্যে নেই। আইএলওতে শ্রমিকদের অধিকার যাতে রক্ষা হয় তা নিয়ে আলোচনা হয় এবং সেটা নিয়েই সবসময় তাদের বক্তব্য থাকে। শ্রম আইন আমরা সংশোধন করছি। গত সংসদে এটি সংশোধন করার পর রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিল, কিছু ক্রটি-বিচ্যুতি থাকায় এটি ফেরত আনা হয়েছে।’

আনিসুল হক বলেন, ‘শ্রম আইন যখন প্রণয়ন করা হয় সারা বিশ্বের বেস্ট প্র্যাকটিসগুলো আমরা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করি। সেই বেস্ট প্র্যাকটিস অন্তর্ভুক্ত করার যে চেষ্টা সেখানে কিন্তু আইএলওর একটি কন্ট্রিবিউশন থাকে।’

বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার নিয়ে ২০১৯ সালে আইএলওর গভর্নিং বডিতে নালিশ পড়েছিল জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যে অহেতুক নালিশ করা হয়েছে সেটি শেষ হওয়া উচিত। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের শ্রম আইন নিয়ে কথা বলতে তাদের (আইএলও) সঙ্গে বসেছিলাম। শ্রম আইন সংশোধনের আগ পর্যন্ত স্টেকহোল্ডার এবং যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলে তাদের কথা শুনব।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা আইএলওর সাজেশন শুনেছি। সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ৭ মে আইএলও তাদের সাজেশন শ্রম মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটিতে উপস্থাপন করবে। ১২ মে আমরা সেটা সম্পূর্ণ করার জন্য সভা ডাকব।’

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের