
লিওনেল মেসি ও নেইমার জুনিয়র
ফুটবলে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সেই বহু আগে থেকেই। দুই প্রতিবেশি দেশের ফুটবল যুদ্ধ তাদের নিজেদের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পুরো দুনিয়ায় ছাড়িয়ে গেছে।
বর্তমান সময়ে আর্জেন্টিনা বলতে লিওনেল মেসির নাম আসে অবধারিতভাবেই। অন্যদিকে ব্রাজিলের পোস্টারবয় নেইমার জুনিয়র। মেসির ভালো পারফরম্যান্স মানেই আর্জেন্টিনার জয়। অন্যদিকে নেইমার মাঠে থাকলেই ব্রাজিলের খেলার গতি বেড়ে যায় বহুগুণে।
মেসি-নেইমার নিজেরা যতো ভালো খেলেন দেশের জন্য যেনো ততোই লাভ। দুজনের পায়ের জাদুতে বুদ হয়ে থাকে পুরো দুনিয়া। দুজনের দেশ আলাদা হলেও দুজনের ক্লাবের ঠিকানা একই। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি) এর হয়ে ক্লাব পর্যায়ে খেলেন এই দুই মহাতারকা।
তবে খুব বেশিদিন আর তাদের শৈল্পিক ফুটবল পারফরম্যান্স হয়তো দেশের জার্সিতে দেখা যাবে না। কেননা, ইতোমধ্যে লিওনেল মেসি জানিয়ে দিয়েছেন দেশের জার্সি গায়ে এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ। অন্যদিকে নেইমারের বয়স মাত্র ৩০ হলেও এবারই হয়তো তিনিও শেষ বার দেশের জার্সি গায়ে বিশ্ব মঞ্চে নেমেছেন।
এসব দিক বিবেচনা করলে ধরে নেয়াই যায় এবারই শেষ হয়তো দুই বন্ধুর শেষ বিশ্বকাপ। তবে বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগেই হয়তো আজ তাদের হয়ে যেতে পারে শেষ ম্যাচ বিশ্ব মঞ্চে। কারণটা সবারই জানা ব্রাজিল মুখোমুখি হচ্ছে ক্রোয়েশিয়ার। যদি ব্রাজিল হেতে যায় তাহলে সেলেসাওদের বিদায়ের পাশাপাশি নেইমারের হয়তো শেষ হয়ে যাবে ব্রাজিলের শেষ বিশ্বকাপে অংশ নেয়া।
অন্যদিকে রাত একটায় নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। যদি এই ম্যাচে আলবিসেলেস্তারা হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় তাহলে হয়তো এটাই শেষ ম্যাচ হয়ে থাকবে লিও মেসির।
তবে এসব না হয়ে যদি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দুই দলই নিজেদের আলাদা আলাদা ম্যাচে জয় পায় তাহলে গল্পটা হবে অন্যরকম। তখন আরও একটি ম্যাচে যেকোনো একজন টিকে থাকবে পরের ম্যাচ খেলতে। ফুটবল প্রেমিরা নিশ্চয়ই চাইবে আজ যেনো জিতে যায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। আর টিকে যাক দুই বন্ধু মেসি-নেইমারের পায়ের জাদু দেখার সুযোগটা।
রেডিওটুডে নিউজ/এসবি