কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের পাঁচ উপজেলায় হঠাৎ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে জেলা সদর, থানচি, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি এবং আলীকদম উপজেলার কয়েক হাজার ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। এসব এলাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সদর ও রোয়াংছড়ি উপজেলা ছাড়া ৪০০ পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে শহরে বৃষ্টি কমলেও উজানে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে বান্দরবানের সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাকঁখালী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
বান্দরবান জেলায় ১৪০ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এরমধ্যে জেলা সদরের ১৩ টি আশ্রয়কেন্দ্রে এরইমধ্যে পাঁচ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে ৮৩৫ টি পরিবার।
লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম জানান, বন্যা ও পাহাড় ধসের ঘটনায় পৌরসভায় শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে লামা পৌরসভার জন্য ২০ মেট্রিক টন চাল এবং ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ৩ মেট্রিক টন চাল এবং ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সড়ক, ঘরবাড়ি ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে ঝুঁকিতে থাকা বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
রেডিওটুডে নিউজ/এসআই/ইকে