শুক্রবার,

২৬ এপ্রিল ২০২৪,

১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শুক্রবার,

২৬ এপ্রিল ২০২৪,

১৩ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

পেঁয়াজের বাজার লাগামহীন

প্রকাশিত: ১৭:২৩, ৬ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ১৭:২৫, ৬ অক্টোবর ২০২১

Google News
পেঁয়াজের বাজার লাগামহীন

ফাইল ছবি

দেশের পেঁয়াজের বাজারে আগুন বাড়ছেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি না থাকায় এই খরা সহসা কাটছে না। দেশের বাজারে মাত্র তিন-চার দিনের ব্যবধানে এ কাঁচা পণ্যটির দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত সরকারের কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকা ও ভারতীয় কৃষিপণ্য মূল্য নির্ধারণকারী সংস্থা (ন্যাপেড) রপ্তানির জন্য বরাদ্দকৃত পেঁয়াজের দাম না বাড়ানো সত্ত্বেও দেশে আমদানি হচ্ছে না পেঁয়াজ। এ নিয়ে দেশীয় আমদানিকারকদের মধ্যে কোনো প্রকার তৎপরতা দেখা যায়নি। সে কারনে কবে নাগাদ দাম নাগালের মধ্যে আসবে সেটিও কেউ বলতে পারছেন না। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু বাংলাদেশেই নয় ভারতের স্থানীয় বাজারগুলোতেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ভারতে তাদের নিজেদের উৎপাদিত পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২২ থেকে ২৩ রুপি করে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ২৬ রুপিতে। যা আগে ছিল ১৬ থেকে ১৮ রুপি।

এদিকে গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত (১৩ দিনে) দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে মাত্র ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ২২ সেপ্টেম্বর ৩০ টন ও ৩০ সেপ্টেম্বর ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয় এ পথে।

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমে যাওয়ায় দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, সপ্তাহের ব্যবধানে তা বেড়ে হয়েছে ৬৫ টাকা। সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, বাজারে কোনো মনিটরিং নেই, ফলে বিক্রেতারা সুযোগ বুঝে ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন। বাজার মনিটরিং থাকলে দাম এতটা লাগামহীন হতো না।

পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী নূরুল আমিন বিশ্বাস  জানান, আমি গত দুই চালানে মাত্র ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছি। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ২৬০ মার্কিন ডলারে এলসি করেছি। বাংলাদেশি টাকায় প্রতি টনের দাম পড়েছে ২২ হাজার ৮৭ টাকা প্রায়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বন্যা দেখা দেওয়ায় বাজারে পেঁয়াজ তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। ভারতের স্থানীয় বাজারগুলোতেও দাম বেড়েছে। যে কারণে পেঁয়াজ আমদানি করে এখন কোনো লাভ নেই।

বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, সবশেষ ২২ ও ৩০ সেপ্টেম্বর ভারত থেকে দুটি চালানে ৩০ মেট্রিক টন করে ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। বেনাপোল কাস্টমস হাউজ থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি মেট্রিক টন ৩১০ মার্কিন ডলারে অ্যাসেসমেন্ট (শুল্কায়ন) হচ্ছে, যা বাংলাদেশি টাকায় ২৬ হাজার ৩৪৫ টাকা প্রায়। পণ্য ছাড়ে ব্যবসায়ীদের শুল্কায়ন মূল্যের ওপর শতকরা ৫ ভাগ হারে শুল্ক ও ৫ ভাগ এআইটি পরিশোধ করতে হচ্ছে।

রেডিওটুডে নিউজ/এমএস/এমএইচ

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের