ফাইল ছবি
অতিরিক্ত ঠান্ডায় আমাদের অনেকেরই হাত-পা অবশ হয়ে যায় এবং পেশিতে অনেক সময় টান ধরে। কমবেশি সবাই আমরা ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হই।
শুধু ঠান্ডা সময়েই যে এমন ঘটনা ঘটে তা কিন্তু নয় আমাদের অনেকেরই ঘুমের মধ্যেও এ সমস্যা হয়ে থাকে। তবে এর কারণটা কি আমরা অনেকেই জানিনা!
এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, শীতকালীন সময়ে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কম বেশি আমরা অনেকেই যেটুকু পানি আমাদের পান করা উচিত আমরা সেই পরিমাণ পানি পান করি না। পর্যাপ্ত পানি পান না করাই শরীরের ডিহাইড্রেশনের সৃষ্টি হয়ে এমনটা হয়ে থাকে। আর এই ডিহাইড্রেশনের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে শরীরের পানির পরিমাণ কমে যায় এবং এই পেশীতে টান ধরার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
শুধু যে ডিহাইড্রেশনের কারণে এমনটি ঘটে তা কিন্তু নয় অনেক সময় এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে পরিবেশ এবং শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য ঠিক না থাকার কারণেও।
আরো বিভিন্ন কারণে পেশিতে টান ধরতে পারে। যার মধ্যে ভিটামিনের ঘাটতিও বেশ উল্লেখিত একটি বিষয়। শরীরে ম্যাগনেসিয়াম,পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ঘাটতির কারণেও শীতে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় অনেকেরই।
তবে এক্ষেত্রে আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন হতে পারে যে এ ধরনের সমস্যা কোন বড় রোগের ইঙ্গিত নয় তো?
এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত, শরীরের কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে এটিকে অ্যাথোরোক্লেরোসিস বলে। এমতাবস্থায় শরীরের রক্ত চলাচল বাধা গ্রস্থ হয়। ফলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়াকে বলে পেরিফেরাল আর্টরি ডিজিজ।
এ অবস্থায় শরীরে ধমনী গুলোর ভেতর চর্বি আস্তরণ তৈরি হয়। যার ফলে রক্ত চলাচল ঠিকমত স্বাভাবিক না হয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ব্যথা সৃষ্টি হয় যা খুবই বেদনাদায়ক। শুধু তাই নয় পায়ের ত্বকের রং পরিবর্তন,পায়ের আঙুলে ঘা, পায়ের অসারতা বা দুর্বলতা, নখের ধীর বৃদ্ধি ইত্যাদি এই কারণে হয়ে থাকে।
এস আর