ছবিসূত্র: ইন্টারনেট
অবশেষে সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার বিষয়টি স্বীকার করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনে বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের স্বীকারোক্তি- মঙ্গলবার ছোড়া ওই ক্ষেপণাস্ত্রে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ছিলো।
তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষার সময় উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন উপস্থিত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ২০১৬ সালের ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষার সময়ও একই জাহাজ ব্যবহার করা হয়।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১৭ মিনিটের দিকে উত্তর কোরিয়ার সিনপো শহর বা সংলগ্ন কোনও স্থান থেকে এটি নিক্ষেপ করা হয়। এরপরই দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) জানায়, উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূল সংলগ্ন জাপান সাগরে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়েছে।
সিউল ধারণা করছে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬০ কিলোমিটার উচ্চতা নিয়ে ৪৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভ্রমণ করেছে। তবে উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষাকে ‘খুবই দুঃখজনক’ কর্মকান্ড বলে মন্তব্য করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া হাইপারসনিক ও দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি বিমানবিধ্বংসী অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর দাবি করে। একের পর এক এ ধরণের ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষায় প্রতিবেশি দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান গভীর উদ্বেগ জানিয়ে আসছে।
রেডিওটুডে নিউজ/এমএস