শাবানা আজমী
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘শেষের কবিতা’য় লাবণ্যের সৌন্দর্য বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেছিলেন “তা জ্যোৎস্না রাত্রির মতো অস্পষ্ট নয়, বরং ভোরবেলাকার মতো উজ্জ্বল”। ঠিক যেন একই উপমা ব্যবহার করা যায় নিজস্ব দীপ্তিতে উজ্জ্বল এই বিশ্বখ্যাত অভিনেত্রীর ক্ষেত্রেও সত্যিকারের ভার্সেটাইল এই অভিনেত্রী রেকর্ড সংখ্যক পাঁচবার ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও পাঁচবার ফিল্ম ফেয়ারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি বলিউড পাড়ার অন্যতম শীর্ষ অভিনেত্রী শাবানা আজমী।
শাবানা আজমীর বাবা বরেণ্য কবি কায়েফী আজমী, মা জনপ্রিয় মঞ্চ অভিনেত্রী শওকত আজমী আর স্বামী প্রখ্যাত গীতিকার জাভেদ আক্তার। ছোটবেলা থেকে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আবহে গড়ে ওঠা শাবানা আজমী সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মনোবিজ্ঞানের ওপর গ্রাজুয়েশন করেন।
১৯৭৪ সালে অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘অঙ্কুর’ এর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার পর শাবানার ঘটে রাজকীয় উত্থান। এরপর জীবনব্যাপী ফাকিরা, অমর আকবর অ্যান্থোনি, পাতাং, জুনুন, নীরজা, স্বামী, শতরঞ্জ কি খিলাড়ি, তেহজিব ও গডমাদার সহ ১২০টি হিন্দি ও বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। বাংলাদেশি ‘মেঘলা আকাশ’ চলচ্চিত্রে দেখা গেছে তাঁকে।
১৯৯৭ সালে ভারতের রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হওয়া এই অভিনেত্রীকে পরের বছর ভারতের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ দেয়, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল। বর্তমানে অভিনয়ের পাশাপাশি নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন সামাজিক ও মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকান্ডে।
১৯৫০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, ভারতের হায়দ্রাবাদে জন্মগ্রহণ করেন, ভারত সরকারের পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ পুরস্কারে ভূষিত এই বরেণ্য অভিনেত্রী। জীবন ঘনিষ্ঠ সুনিপুন অভিনয় শৈলী দিয়ে সবার হৃদয় জয় করা শাবানা আজমীর জন্মদিনে রেডিও টুডের পক্ষ থেকে জানাই অনেক শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে