শুক্রবার,

২০ জুন ২০২৫,

৭ আষাঢ় ১৪৩২

শুক্রবার,

২০ জুন ২০২৫,

৭ আষাঢ় ১৪৩২

Radio Today News

মিথ্যা তথ্যে জুলাই শহীদ তালিকায় নাম, প্রমাণ পেলেই কঠোর শাস্তির বিধান

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯:৫৬, ১৯ জুন ২০২৫

আপডেট: ১৯:৫৭, ১৯ জুন ২০২৫

Google News
মিথ্যা তথ্যে জুলাই শহীদ তালিকায় নাম, প্রমাণ পেলেই কঠোর শাস্তির বিধান

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসনের জন্য ‘জুলাই শহীদ এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সরকারিভাবে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়।

অধ্যাদেশে শহীদ ও আহতদের কল্যাণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা হয়েছে। একইসঙ্গে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে সুবিধা গ্রহণের চেষ্টা করেন, তাহলে তার জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

অধ্যাদেশে বলা হয়, কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপন করে শহীদ পরিবারের সদস্য বা আহত জুলাই যোদ্ধা হিসেবে নিজেকে দাবি করে কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করলে তা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।

এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্যে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

অধ্যাদেশের দ্বিতীয় অধ্যায়ে অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, কার্যাবলী, কর্মচারী ইত্যাদি বিষয় রয়েছে। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠায় বিস্তারিত এখানে উল্লেখ রয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে অপরাধ ও বিচার বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এখানে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্য বা কোনো  আহত না হওয়া সত্ত্বেও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বা জ্ঞাতসারে মিথ্যা, বিকৃত তথ্য প্রদান, তথ্য গোপন ও বিভ্রান্তিকর কাগজ দাখিল করে নিজেকে ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্য বা আহত দাবি করে চিকিৎসা, আর্থিক, পুনর্বাসন সুবিধা দাবি অথবা গ্রহণ করেন তাহলে তিনি এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে।

এতে আরও বলা হয়, কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত অপরাধ করলে অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সুবিধা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই আইনের অধীন অপরাধ অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য হবে। এই অধ্যাদেশের অধীন সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, অনুসন্ধান, তদন্ত, বিচার, আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ (অ্যাক্ট নং ভি অব ১৮৯৮) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে।

এছাড়া অধ্যাদেশে নিহত-আহতদের দুই শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। ‘গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ’ এবং আহত ব্যক্তিদের যথাক্রমে ‘জুলাই শহীদ’ এবং ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। 
আইন অনুযায়ী, ‘জুলাই শহীদ’ হিসেবে অভিহিত হবেন তারা, যারা গণ-অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছেন। আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং তাদের তিনটি উপশ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। যেমন-
১. অতি গুরুতর আহত
২. গুরুতর আহত
৩. সাধারণ আহত

অধ্যাদেশে জুলাই ‘শহীদ’ পরিবার এবং আহতদের কল্যাণে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের আইনি ভিত্তি দেওয়া হয়েছে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের