সংগৃহিত ছবি
সুপার সিক্সটিনে আজ দক্ষিণ কোরিয়ার দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪ এ প্রত্যাশিতভাবে ফেভারিট ছিল ব্রাজিল। ম্যাচের শুরুটাও করেছে তারা ফেভারিটের মতোই। একাদশে নেইমারকে পেয়ে উজ্জীবিত ব্রাজিল আক্রমণে যায় শুরু থেকেই। ফলে জালের দেখা পেতেও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় সেলেসাওদের।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটেই ৪-০ তে লিড নিয়ে নেয় তিতের শিষ্যরা। প্রথমার্ধের আর গোল না হলে শেষ আটের দিকে এক পা রেখে বিরতিতে যায় নেইমার-ভিনিসিয়ুসরা।
এদিন ম্যাচের সপ্তম মিনিটে রাফিনিয়ার দুর্দান্ত পাস থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে সহজে বল জালে জড়ান ভিনিসিয়ুস। সাতমাস পর আন্তর্জাতিক গোলের দেখা পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।
প্রথম থেকে এলোমেলো ফুটবল খেলা দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে অবশ্য বেশি সময় লাগেনি সেলেসাওদের। ১১ মিনিটের সময় কোরিয়ার বিপদসীমায় রিচার্লিসনকে ফাউল করে রক্ষণভাগের খেলোয়াড়। সাথে সাথে পেনাল্টি যায় ব্রাজিলের পক্ষে।
নেইমার ঠাণ্ডা মাথায় পেনাল্টি নিলে তিতের শিষ্যরা এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরে গোল পেলেন দলের প্রাণভোমরা নেইমার।
অন্যদিকে গ্রুপপর্বে প্রথম ম্যাচে রিচার্লিসনের দুই গোলে জিতেছিল ব্রাজিল। শেষ ষোলোর ম্যাচে আবারও গোল পেয়েছেন এই তারকা। ২৯ তম মিনিটে কোরিয়ার রক্ষণদুর্গ ভেঙে দারুণ এক গোলে ৩-০ এগিয়ে যায় সেলেসাওরা।
এরপর এক হালি গোল দিতে বেশি সময় লাগেনি লাতিন আমিরাকার দেশটির। ৩৫তম মিনিটে কোরিয়ার জালে চতুর্থ গোলটি করেন লুকাস পাকুয়েতা। ম্যাচে বাকি সময় আর গোল না হলে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরে এসে আক্রমণ চালালেও গোলের দেখা পায়নি আর ব্রাজিল। উল্টো ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে হেইন হো পাইক দারুণ এক গোল করে ব্যবধান কমান। শেষ পর্যন্ত এই ৪-১ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ব্রাজিল।
রেডিওটুডে নিউজ/এসবি