বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে মর্টারশেল এবং ভারি অস্ত্রের গুলি বর্ষণ হয়েছে। বুধবার সকালে সাড়ে ৯টার দিকে প্রথমবার ভারি অস্ত্রের গুলির শব্দ শোনা যায়। দুপুর ১২টার দিকে কয়েকটি মর্টারশেল এর গোলা বিস্ফোরণের আওয়াজ হয় সীমান্তের ওপারে তুমব্রু এলাকায়।
কিছুক্ষণ পরিস্থিতি শান্ত থাকার পর বিকালে ৫টার দিকে ফের ভারি অস্ত্রের গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণের আওয়াজে সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের আতঙ্ক যেন কিছুই কাটছে না। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকা থেকে বাইশফাঁড়ি পর্যন্ত নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বসবাসরত ৩শ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রমও শুরু হয়নি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রেজু, আমতলী, ফাত্রাঝিরি, চাকমা পাড়া সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয়দের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ তৈরি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। সীমান্ত চৌকিগুলো থেকে আশপাশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে বিজিবি টহলও।
ঘুমধুম ইউনিয়নের এক নাম্বার ওয়ার্ডেও ইউপি সদস্য মেম্বার সফিকুল ইসলাম বলেন, আগেরদিন সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল নয়টা পর্যন্ত তুমব্রু সীমান্তে কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। তবে সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তিন দফায় ভারি অস্ত্রের ফায়ারিং এবং মর্টারশেল বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গেছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম