সোমবার,

০৬ মে ২০২৪,

২৩ বৈশাখ ১৪৩১

সোমবার,

০৬ মে ২০২৪,

২৩ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

দুই দিনের বৃষ্টিতে রংপুর অঞ্চলের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে

রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Google News
দুই দিনের বৃষ্টিতে রংপুর অঞ্চলের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে

দুই দিনের বৃষ্টিতে রংপুর অঞ্চলের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করছে

গত দুই দিনের বৃষ্টিতে রংপুর অঞ্চলের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করছে।  টানা বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতার কারনে রংপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডেও পাড়া-মহল্লায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় নিচু এলাকাগুলোর কাচা-পাঁকাসড়ক তলিয়ে গেছে। অনেক এলাকায় পানি মানুষের বাড়ি-ঘরে প্রবেশ করেছে। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষরা।

রংপুর বিভাগীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে ৮৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত (সকাল ৯টা পর্যন্ত) রেকর্ড করা হয়েছে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক অরজিৎ কুমার রায় জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে হওয়া ৮৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের মধ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বোচ্চ মিলিমিটার এবং রংপুরে ১৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আরও দুই-তিন দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টিতে রংপুর নগরীর, শালবন, বাহারকাছনা,মিস্ত্রিপাড়া, খেড়বাড়ি,বোতলা, জুম্ম্পাড়া, সাহেবগঞ্জ, কামাল কাছনা, মাহিগঞ্জ, নিউ জুম্মাপাড়া, পূর্ব জুম্মাপাড়া, তাজহাট, বাবুপাড়া, কামারপাড়া, আদর্শপাড়া, নগর মীরগঞ্জ, কলাবাড়ি দর্শনা, মর্ডান মোড়, মুন্সিপাড়া, হনুমান তলা, মুলাটোল, পালপাড়া, মেডিকেল পাকার মাথা ও জলকরসহ বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
রংপুর নগরীর বাহারকাছনা এলাকার মুদি ব্যবসায়ী গোলজার হোসেন জানান, বুষ্টির কারনে দোকানে বেচা কেনা নেই। মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। টানা বৃষ্টিতে দোকান খোলা সম্ভব হয়নি।

বোতলা এলাকার কৃষক নজরল জানান, বৃষ্টিতে ধানের বেশ উপকার হয়েছে। বৃষ্টির পানি পাওয়ায় সার কিছুটা কম লাগবে। আশি^নের এই বৃষ্টি কৃষকের উপকাওে আসবে বলে জানান তিনি।

দিন মজু মোবারক হোসেন জানান, বৃষ্টির কারনে নিজের শ্রম বিক্রি করতে পারি নাই। গত দুই দিন ধওে ধার কওে চলতে হয়েছে। আগামীকার বৃষ্টি থাকলে কোন উপায় থাকবে না। টানা বৃষ্টির কারণে বাইরে মানুষের চলাফেরা কমে গেছে।

নগরীর শালবন এলাকার গৃহবধু সম্পা হোসেন জানান, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে এখানকার রাস্তাগুলো পানির নীচে তলিয়ে গিয়ে বাড়িতে পানি প্রবেশ করে। রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এখারকার মানুষ।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল জানান, এখন ধানের মৌসুম। এই বৃষ্টি ধানের জন্য খুবই উপকারী। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সবজি ক্ষেতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। যা পানি নেমে যাওয়ার পর বোঝা যাবে।

রেডিওটুডে নিউজ/এসবি

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের