মঙ্গলবার,

০৭ মে ২০২৪,

২৪ বৈশাখ ১৪৩১

মঙ্গলবার,

০৭ মে ২০২৪,

২৪ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে শ্রমিকলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৩২, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

আপডেট: ১২:৩৪, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

Google News
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে শ্রমিকলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

রাজবাড়ীতে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সহ সভাপিত নিহত

গড়াই নদীর খাস জমিকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি আজিজ মহাজনকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে ভূমিদস্যুরা। নিহত আজিজ মহাজন কোনাগ্রামের মৃত আজের মহাজনের ছেলে।

রোববার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান নিহতের বড় ভাই আব্দুর রহমান। খাস জমির বিরোধ নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে।

আব্দুর রহমান জানান, নিহত আজিজ মহাজন রোববার রাত ৭টার দিকে পাশ্ববর্তী গ্রাম বড়াবিলা থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ির উদ্দেশ্যে আসছিল।

পথিমধ্যে বাঁশ ফেলে গতিরোধ করে ভূমিদস্যুরা। এরপর তাকে রড দিয়ে প্রথমে কোনাগ্রাম গ্রামের ভূমিদস্যু শাহাদত হোসেনের ছেলে সাজিদ রাফি (৩০) তার মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়। এসময় কোনাগ্রাম গ্রামের জাকির মন্ডলের ছেলে ইরান মন্ডল, আনোয়ার মন্ডলের ছেলে নিশাত মন্ডল (২৬) ও মৃত মালেক মহাজনের ছেলে রেজাউল মহাজন (৩০)সহ আরো ৭-৮ জন তাকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে।

এক পর্যায়ে তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুঁটে এলে ভূমিদস্যুরা পালিয়ে যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। তার শারিরীক অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর থেকেও তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন সেখানকার চিকিৎসক।
এরপর রাত ১টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

বালিয়াকান্দি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। খুব দ্রুতই আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, নারুয়ার কোনাগ্রামে গড়াই নদীর জেগে ওঠা চর দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিহীন ও ভূমিদস্যুদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সরকার ভূমিহীনদের মধ্যে খাস জমি বন্দোবস্ত দিলেও স্থানীয় প্রভাবশালী শাহাদত হোসেন ও তার দলবল সেটি দখল করতে বাধা দেয়। বন্দোবস্ত নিয়েও ভূমিহীনরা দখলে যেতে না পারায় তারা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেন তারা।

ভূমিহীনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদশর্ন শেষে প্রশাসন একটি মামলা দায়ের করেন। তাতে শাহাদত হোসেনসহ তার দলের অনেককেই ভূমিদস্যু হিসেবে চিịিত করেন। শাহাদত হোসেনের বিরুদ্ধে আরো ৫ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

রেডিওটুডে নিউজ/এসবি

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের