রোববার,

১৯ মে ২০২৪,

৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রোববার,

১৯ মে ২০২৪,

৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Radio Today News

কালবৈশাখীতে লণ্ডভণ্ড সতঘরসহ দোকানপাট ও হাঁস-মুরগির খামার

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ৬ মে ২০২৪

আপডেট: ১৪:০৭, ৬ মে ২০২৪

Google News
কালবৈশাখীতে লণ্ডভণ্ড সতঘরসহ দোকানপাট ও হাঁস-মুরগির খামার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে। ভেঙে গেছে পল্লী বিদ্যুতের পাঁচটি খুঁটি ও বেশ কিছু ট্রান্সমিটার। চার শতাধিক সংযোগ লাইন ও দুই শতাধিক মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক গাছ সঞ্চালন লাইনের ওপর পড়ায় বিদ্যুতের এ বিপর্যয় অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ে উপজেলায় ৪০টির মতো বসতঘর, দোকানপাট ও হাঁস-মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার ১৩০টি গ্রামের প্রায় ৭০ হাজার গ্রাহক অন্ধকারে রয়েছেন।

কালবৈশাখী ঝড়টি রোববার সন্ধ্যায় শুরু হয়ে থেমে থেমে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে। বিশেষ করে উপজেলা সদর ইউনিয়ন, নাসিরপুর, দাতমন্ডল, ধনকুড়া,  কুলিকুন্ডা ও মন্নরপুর এলাকায় বেশি আঘাত হেনেছে। 

এসব গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় ঝড়ে টিনসেড ঘরের চালা প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে উড়ে গেছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি গ্রামের গাছপালা ভেঙে বিদ্যুতের তারের ওপর ঝুলে আছে। কিছু কিছু এলাকায় কয়েকটি শতবর্ষী কৃষ্ণচুড়া গাছের গোড়া ওপড়ে গেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে সদরে ৯টি, কুলিকুন্ডা ৩টি, দাতমন্ডল ১০টি, নাসিরপুর ৫টি, ধনকুড়া ৪টি  মন্নরপুর গ্রামে ৮-১০টি ও বুড়িশ্বর গ্রামে ৩টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে বড়ঘাট এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের ৩৩ কেবি লাইনের ৫টি খুঁটি ভেঙে বিদ্যুতের তারসহ মাটিতে পড়ে রয়েছে। অনেক গাছ বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে পুরো উপজেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সকাল থেকে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন সড়ক থেকে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার অপসারণের কাজ শুরু করেছে।

দাতমন্ডল গ্রামের এরশাদ মিয়া বলেন, আমার একটি আধপাকা টিনসেডের চালা উড়িয়ে দুই কিলোমিটার দূরে গেছে। 

ধনকুড়া গ্রামের আনিস, দাতমন্ডল গ্রামের বিল্লাল ও উপজেলা সদরের রহমত উল্লাহ জানান, ঝড়ে তাদের ঘরের চাল তো উড়ে গেছে। ঘুমানোর জায়গাও নেই এখন।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের