মঙ্গলবার,

৩০ এপ্রিল ২০২৪,

১৭ বৈশাখ ১৪৩১

মঙ্গলবার,

৩০ এপ্রিল ২০২৪,

১৭ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে খুলনা জেলা রেজিস্ট্রারের দাপ্তরিক কাজ, জীবনহানীর শঙ্কা

খুলনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:৫৫, ১১ জুলাই ২০২১

Google News
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে খুলনা জেলা রেজিস্ট্রারের দাপ্তরিক কাজ, জীবনহানীর শঙ্কা

ছবি: রেডিও টুডে প্রতিনিধি, খুলনা

প্রতিনিয়ত খসে পড়ছে ছাদ এবং দেয়ালের পলেস্তারা। নিরাপত্তার জন্য ওপরে টানানো হয়েছে নেটের জাল। দরজা-জানালাও অনেকটা জরাজীর্ণ। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এমন বেহাল দশা খুলনা জেলা রেজিস্ট্রারের দাপ্তরিক ভবনের। দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে ভবনটিতে প্রাণহানিসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্ট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জমি রেজিস্ট্রেশন ও আনুষঙ্গিক কাজের জন্য নগরের কেডি ঘোষ রোডে নগর ভবনের পাশে স্বাধীনতার আগে বহু কক্ষবিশিষ্ট খুলনা জেলা ভূমি রেজিস্ট্রার কার্যালয় নির্মাণ করা হয়। দৈনন্দিন সেবা প্রদানে কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। এছাড়া ভূমি সংক্রান্ত সমস্যা ও নানা প্রয়োজনে প্রতিদিন অসংখ্য লোক আসা-যাওয়া করেন এই অফিসে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ওই ভবনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ভবনটি সংস্কারের অভাবে প্রতিনিয়ত খসে পড়ছে ছাদ ও দয়ালের পলেস্তারা। ছাদের বেশিরভাগ জায়গায় রড দেখা যাচ্ছে। ভেঙে পড়া ওই ছাদ থেকে রক্ষা পেতে টানানো হয়েছে নেটের জাল। জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে ভবনটির জানালা-দরজা। এ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি চলছে দাপ্তরিক কাজ-কর্ম। ফলে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এখানে আসা সেবাপ্রত্যাশী জনসাধারণ।

জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, নেটের জাল দিয়ে কাজের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করা হলেও সেটি সম্ভব হচ্ছে না। জমাট বাঁধা কংক্রিট ভেঙে নেটের জাল ছিঁড়ে পড়ছে। এ অবস্থায় ভবনের মধ্যে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। ভয়ে ভয়ে দিনের কাজ কোনোমতে শেষ করা হচ্ছে।

খুলনা জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার দীপক কুমার সরকার বলেন, ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় জীবনের ঝুঁকি চালাতে হচ্ছে দাপ্তরিক কাজ-কর্ম। দেড় লাখ বালাম বইসহ নানা নথিপত্র ও আসবাব রয়েছে এখানে। 

তিনি আরও বলেন, পুরনো ভবনটি ভেঙে চারতলা নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গণপূর্ত বিভাগ ভবনের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করবে। এ সময়ে অন্য ভবনে অফিস ভাড়া নেয়ার চেষ্টাও করা হচ্ছে। কিন্তু দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য এত বড় ভবন অন্য কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে এ ভবনে কাজ চালাতে হচ্ছে। 

রেডিওটুডে নিউজ/ইকে

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের