
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগের মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরায় থাকতে পারেননি চিত্রনায়িকা পরীমনি। সারাদিন আদালতে বসে থেকে গরমে অসুস্থতা অনুভূত হওয়ায় আদালত ছেড়ে চলে যান তিনি। এজন্য আজ তাকে জেরা করা সম্ভব হয়নি। জেরার জন্য পরে নতুন দিন ধার্য করেছেন বিচারক।
সোমবার (২৬ মে) বেলা ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণে বসে থেকে আদালত ছেড়ে চলে যান তিনি।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ আজ এ মামলার দিন ধার্য ছিল। তবে আজ পরীমনিকে জেরা করা সম্ভব হয়নি। জেরার জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন বিচারক। পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিন বেলা ১১টার দিকে সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তির সঙ্গে গল্প করতে করতে আদালতে আসেন পরীমনি। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ওই ব্যক্তিকে ইঙ্গিত করে পরীমনিকে বলতে শোনা যায়, ‘কার হাত ধরে আদালতে এলেন পরীমনি’।
এর আগে, ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে পরীমনি তার স্বামী শরিফুল রাজকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন। সে সময় আসামি অমি ও শহীদুল হাজিরা দেন। তবে অসুস্থ থাকায় নাসির উদ্দিন সময়ের আবেদন করেন। দুই আসামির উপস্থিতিতে পরীমনির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর আদালত পরীমনির আংশিক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
গত বছরের ১৯ এপ্রিল নাসির ও অমির পক্ষে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। অন্যদিকে অব্যাহতির আবেদনের বিরোধিতা করেন বাদীপক্ষ। এছাড়া অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর গত বছরের ১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে ঢাকার অদূরের বিরুলিয়ার ঢাকা বোট ক্লাবে যান পরীমনি। সেদিন রাতে সেখানে তাকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন পরীমনি। পরে ১৪ জুন নাসির ও অমি ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। অপর দুই আসামি হলেন- তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম।
২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত শেষে আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম