
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সহিংস বিক্ষোভ দেখা গেছে। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এজেন্টদের পরিচালিত অভিযানে গত শুক্রবার (৬ জুন) ৪৪ জন অভিবাসী গ্রেপ্তারের পর শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়।
শনিবার (৭ জুন) প্যারামাউন্ট এলাকার একটি শিল্প পার্কের সামনে বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ফেডারেল এজেন্টরা কাঁদানে গ্যাস ও ফ্ল্যাশ ব্যাং ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। এক বিক্ষোভকারীর সাইনবোর্ডে লেখা ছিল, কোনও মানুষ অবৈধ নয়।
হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই আন্দোলনকে ‘হিংসাত্মক বিদ্রোহ’ বলে আখ্যা দেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দেন ট্রাম্প প্রশাসনের সীমান্ত উপদেষ্টা টম হোমান।
এফবিআই জানিয়েছে, বিক্ষোভ ও সহিংসতার তদন্ত শুরু হয়েছে। সংস্থার উপপরিচালক ড্যান বোঙ্গিনো বলেন, অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে মার্কিন অ্যাটর্নি অফিসের সঙ্গে কাজ চলছে।
তবে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনকে ‘উসকানিমূলক নাটকীয়তা’ বলে উল্লেখ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, প্রশাসনের উদ্দেশ্য হলো উত্তেজনা বাড়ানো। সহিংস হবেন না—শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চালিয়ে যান।
মানবাধিকার সংগঠন আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (ACLU) ট্রাম্পের পদক্ষেপকে ‘অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষমতার অপব্যবহার’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। সংগঠনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি প্রজেক্টের পরিচালক হিনা শামসি বলেন, এই সিদ্ধান্ত লস অ্যাঞ্জেলেসবাসীর নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে ফেলছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম