
রাজধানী তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি-এর কার্যালয়ে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। এ সময় সেখানে সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছিল সংবাদ। স্থানীয় গণমাধ্যমের ফুটেজে হামলার মুহূর্তটি স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
এর আগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) তেহরানের ওই এলাকায় অবস্থানকারীদের জন্য সর্তকীকরণ এবং দ্রুত তাদের সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা জারি করেছিল। খবর টাইমস অব ইসরায়েল ও আল জাজিরার।
এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, 'ইরানের প্রোপাগান্ডা আর উসকানির মুখপাত্র ধ্বংসের পথে।' ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতের মধ্যেই এই হামলা নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এদিকে, ইরানের এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। গত শুক্রবার থেকে ইরানের ভেতরে চালানো একাধিক বিমান হামলায় এসব লঞ্চার ধ্বংস করা হয়।
আইডিএফের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এফি ডেফরিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, গত সপ্তাহের শেষ থেকে প্রাথমিক আক্রমণ শুরু করার পর এ পর্যন্ত ১২০টিরও বেশি মিসাইল লঞ্চার ধ্বংস করেছে তাদের সেনাবাহিনী, যা মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ।
ডিফ্রিন আরও বলেন, গত রাতে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর কয়েক মিনিট আগে তাদের বিমানবাহিনী ২০টিরও বেশি উৎক্ষেপক ধ্বংস করেছে।
তিনি আরও জানান, ইসরায়েল প্রায় ৫০টি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ইরানের মধ্যাঞ্চলের ইসফাহান শহরের অন্তত ১০০টি সামরিক স্থাপনায় একযোগে হামলা চালায়। এসব স্থাপনার মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ রাখার গুদাম, লঞ্চার এবং কমান্ড সেন্টার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এদিকে আইডিএফ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে তেহরানের দক্ষিণে একটি ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক যান ধ্বংসের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। লঞ্চারটিতে বোমা হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। তবে এ বিষয়ে ইরানের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। দেশটির সামরিক বাহিনীও এ ধরনের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপরে কোনো মন্তব্য করেনি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম