
দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নির্বাচন ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের বাইরে সাংবাদিকদের কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আর কোনো পথ নেই। এ বিষয়ে তাঁরা (লন্ডনের বৈঠকে দুই নেতা) সবাই ঐকমত্য পোষণ করছেন।’
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণার বিষয়ে দুটি দলের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি তাহলে এখানে সবার মতামত নেওয়ার সুযোগ আছে। সুতরাং সবাই তার মতামত দিতে পারে। আমার মনে হয়, এটাই আমাদের গণতন্ত্রের বড় পাওয়া, সবাই তার নিজের মতামত দিবে। এর মধ্য আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে।’
নির্বাচনের অতি প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘দেশের মানুষ গত ২০ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি এবং নতুন প্রজন্মও ভোট দিতে পারেনি। তাই তাঁরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র উত্তরণ চান। এটিই ছিল আন্দোলনের মূল প্রত্যাশা। বিএনপি গণতান্ত্রিক পথেই এগিয়ে যাবে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের যে ত্যাগ, সেই পথেই দেশ অগ্রসর হবে।’
সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের তিনি বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়টি ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল। সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না, নির্বাচনের পরেও এটি চলমান থাকবে। ফ্যাসিস্টদের বিচার প্রক্রিয়া… এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটা বিচার বিভাগের ওপর নির্ভর করে। বিচার বিভাগ বিচার করবে এবং বিচারের আওতায় আনারও বিষয় আছে। যারা বিচারের আওতায় আসবে, তার জন্য আরও প্রায় ছয় মাস সময় আছে। আর যারা এর মধ্যে আসবে না, তাদের জন্য তো আগামী সরকার আছে। ফলে বিচার ওদের হবে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমত্যে প্রসঙ্গে আমির খসরু বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি যত বেশি ঐক্যমতের মাধ্যমে আমরা নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারব সেটা জাতির জন্য তত ভালো। আমরা যে ঐক্যমতের মধ্যে এসেছি এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়। ঐক্যমত থাকার ফলেই আমরা স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টকে বিদায় করতে পেরেছি। সুতরাং আমরা চেষ্টা করব যেখানেই সম্ভব ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম