
প্রতি কেজি বীজ আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৩০ টাকা। বিএডিসি বীজ বিভাগ দাম নির্ধারণ করেছে ২৭ টাকা। তাতে কেজিপ্রতি লোকসান হচ্ছে ৩ টাকা। এতে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে। কথাগুলো বলছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর এলাকার আমিনুল ইসলাম। তিনি বিএডিসির নির্ধারিত বীজ আলু চাষি।
আমিনুল ইসলামসহ বিএডিসির বীজ আলু চাষিরা গতবারের দাম ঠিক রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান। তারা মঙ্গলবার বগুড়া বিসিক বিএডিসির বীজ আলুর হিমাগারের সামনে মানববন্ধন করেন। একই দাবিতে বুধবার স্মারকলিপি দেন। তারা বলছেন, দাম কমানো অযৌক্তিক। এতে উৎপাদন খরচ ও কৃষকের শ্রমের ন্যায্যতা বজায় থাকবে না। তাই এবার চাষিদের কাছ থেকে ৪০ টাকায় বীজ আলু নেওয়া হোক।
বিএডিসি বীজ আলু বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বগুড়ায় ৩২ জন ও জয়পুরহাটের ১৬ জন চাষির কাছ থেকে বীজ আলু কেনা হয়। আলু লাগানো থেকে শুরু করে জমি থেকে তোলা পর্যন্ত ওই চাষিদের ক্ষেত পর্যবেক্ষণ করা হয়। সেখান থেকে বাছাই করা আলু নেওয়া হয় বীজের জন্য। ৫৮ জন কৃষকের কাছ থেকে ৩০০ টন বীজ আলু কেনা হয়।
চাষিদের পক্ষে বেলাল আকন্দ বলেন, সার, বীজ, কীটনাশকসহ সব কিছুর দাম বেড়েছে। বিজ আলু উৎপাদনে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা খরচ হয়েছে। অথচ বিক্রি করতে বলা হচ্ছে ২৬ থেকে ২৮ টাকায়। এদিকে গত মৌসুমে বিএডিসি আমাদের কাছে বীজ বিক্রি করেছে ৪৫-৪৬ টাকা দরে। এবার তারা ৬২ টাকা নেবে। আমাদের উৎপাদিত বীজ লোকসানে বিক্রি করতে বলা হচ্ছে। আবার কিনতে গেলে বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। এটা স্ববিরোধিতা।
বিএডিসি আলু বীজ বিভাগের বগুড়ার উপপরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, চাষির দাবি কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম