
কাশ্মিরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলার ঘটনায় উত্তেজনার মধ্যে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে এবার পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। খবর, এনডিটিভির। বুধবার (৩০ এপ্রিল) ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে নয়াদিল্লি বাণিজ্যিক ও সামরিক সব ধরনের পাকিস্তানি উড়োজাহাজ ভারতের আকাশসীমায় ঢুকতে পারবে না বলে ঘোষণা দেয়।
গতকাল ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত পাকিস্তানের কোনো বিমান ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে পারবে না। এই নির্দেশকে পাকিস্তানের পদক্ষেপের পালটা প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। পহেলগাম হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইতিমধ্যেই ভারতের বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। এ বার ভারতের এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার নতুন মাত্রা যোগ করলো।
নয়াদিল্লির বিমান মিশনগুলোকে নোটিশ জারি করে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নিবন্ধিত বিমান এবং দেশটির বিমান সংস্থাগুলো দ্বারা পরিচালিত বা লিজ নেয়া বিমানের জন্য ভারতীয় আকাশসীমা এখন থেকে বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে সামরিক বিমানও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
ভারতীয় সেনা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ২৯-৩০ এপ্রিল রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পোস্টগুলি জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নওশেরা, সুন্দরবানি এবং আখনুর সেক্টরের বিপরীতে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে বিনা প্ররোচনায় ছোট অস্ত্রের গুলিবর্ষণ শুরু করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্রুত এবং আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।
তবে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে দাবি করেছে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিবর্ষণে ধ্বংস হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট ও বাঙ্কার। সংবাদ মাধ্যমটি বলেছে, ভারতীয় সেনারা বিনা উসকানিতে ছোট অস্ত্রের গুলি চালিয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করলে গুলিবর্ষণ করে পাল্টা জবাব দেয় পাক বাহিনী।
এরই মধ্যে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানিয়েছেন, তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে ভারত। এর আগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেনাবাহিনীকে ‘সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা' দেওয়ার ঘোষণা দেন, যাতে তারা পহেলগাম হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর পদ্ধতি, লক্ষ্য ও সময় স্বাধীনভাবে নির্ধারণ করতে পারে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম