সোমবার,

০২ জুন ২০২৫,

১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সোমবার,

০২ জুন ২০২৫,

১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

Radio Today News

জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ আপিল বিভাগের

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:২১, ১ জুন ২০২৫

Google News
জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ আপিল বিভাগের

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ রোববার সকালে এ রায় দেন।

আদালতে জামায়াতের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, ব্যরিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম।
 
সবশেষ আপিল শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী আদালতকে বলেন, জামায়াতকে নিবন্ধন দেয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের অপেক্ষায় তারা।
 
সেদিন ইসির আইনজীবী আদালতকে আরও জানান, সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের পর ইসির প্রতীকের তালিকা থেকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বাদ দেয়া হয়েছে। নিবন্ধন ফিরে পেলে অন্যপ্রতীক বেছে নিতে হবে দলটিকে।
  
যদিও জামায়াতের আইনজীবী বলছেন, দাঁড়িপাল্লাকে রাজনৈতিক দল প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না এটি আদালতের কোনো রায় নয়। সে কারণে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক পেতে জামায়াতের কোনো বাধা নেই।
 
এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নিবন্ধন বাতিলের পটভূমি:
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করে নির্বাচন কমিশন। জামায়াতে ইসলামীসহ ৩৮টি দল সে সময় নিবন্ধিত হয়।

২০০৯ সালে তরিকত ফেডারেশনের নেতা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ জন ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট করে জামায়াতের নিবন্ধনকে চ্যালেঞ্জ জানান। এরপর ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট রায়ে জামায়াতের গঠনতন্ত্রকে সংবিধানবিরোধী উল্লেখ করে তাদের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন।

এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াত, যা দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল। ২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে।

পরে ২০২৩ সালের আগস্টে জামায়াত আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন এবং একই বছরের ৩ ডিসেম্বর থেকে আপিলের শুনানি শুরু হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয় ১৪ মে।

দলটি আশা করছে, সুপ্রিম কোর্ট তাদের পক্ষে রায় দিয়ে রাজনৈতিক মাঠে ফেরার সুযোগ করে দেবে। তবে আদালতের আজকের রায়ই নির্ধারণ করবে, জামায়াতে ইসলামীর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পথচলা কতটা সুগম হবে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের