বুধবার,

০৪ জুন ২০২৫,

২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বুধবার,

০৪ জুন ২০২৫,

২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

Radio Today News

রামদা হাতে শাকিব খানকে খুঁজছিলেন যুবক!এফডিসিতে আতঙ্ক

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ২ জুন ২০২৫

Google News
রামদা হাতে শাকিব খানকে খুঁজছিলেন যুবক!এফডিসিতে আতঙ্ক

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) শনিবার (৩১ মে) হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মানিক মিয়া নামের হামলাকারী যুবককে আটক করেছে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ। সেদিন রাতেই তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন আটকের তথ্য নিশ্চিত করেন।

তবে সবাই যে ঘটনায় আশ্চর্য হয়েছেন, সেটি হলো, ওই যুবক নাকি এফডিসিতে রামদা হাতে ঢুকে শাকিব খানকে খুঁজছিলেন।

কারণ হিসেবে বলেছেন, শাকিবের কাছে তিনি টাকা পান। জামালপুরে ‘গলুই’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় কাজ করেছিলেন। তবে কী কাজ, কেন টাকা পান এ বিষয়ে যুবক সদুত্তর দিতে পারেননি।

ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ‘প্রেমের তাজমহল’ খ্যাত নির্মাতা গাজী মাহবুব।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা সেসময় এফডিসিতে ছিলাম। হঠাৎ হৈচৈ শুনে বের হয়ে দেখি এক যুবক চাপাতি হাতে ভাঙচুর করছে। আর চিৎকার করছে শাকিব খানের নাম ধরে। পরে আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কী ব্যাপার সে বলছিল শাকিব খানের কাছে টাকা পায়। সে শাকিব খানকে খুঁজতে এফডিসি এসেছে। সে বলছিল জামালপুর তার বাড়ি। ‘গলুই’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে সে সেখানে কাজ করেছে। তাকে টাকা দেয় নাই।’

গাজী মাহবুব আরও বলেন, ‘আমরা তাকে জিজ্ঞেস করি কিসের টাকা, সে বলছিল জামালপুর তার বাড়ি। ‘গলুই’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে সে সেখানে কাজ করেছে। তাকে টাকা দেয় নাই। শাকিব খান আর একজন কালো মতো মতো লোককে খুঁজছিল। তবে সেই লোকটা কে নাম বলতে পারছিল না। আমরা বললাম, শাকিব খান এখানে থাকে না, সে বললো এটা এফডিসি শাকিব খান এখানেই থাকে। এরপর আমরা গোপনে পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ আসা পর্যন্ত তাকে ব্যস্ত রাখি। পরে পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায়।’

এ ঘটনায় এফডিসি কর্তৃপক্ষ মামলা করেছে। এ মামলায় রোববার (১ জুন) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

যদিও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক ওই যুবককে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আসলে তার কথাবার্তা অসংলগ্ন। কোনো কথাই ঠিকমতো বলতে পারছিল না। যেহেতু মামলা হয়েছে। আমরা তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছি।’

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের