
লঘুচাপ দুর্বল হয়ে পড়া এবং সারাদেশে মৌসুমি বায়ু বিস্তার লাভ করার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কমে এসেছে। তবে শনিবার (৩১ মে) সারাদেশে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকলেও সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের দিকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী চার জুন পর্যন্ত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানিয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, আগামী আট ও ৯ জুনের দিকে কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহ হতে পারে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিসহ আগামী দুই দিন এক থেকে তিন ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়বে।
গত ২৪ ঘণ্টায় (আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত) খুলনার কয়রায় সর্বোচ্চ ৩৩ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বান্দরবানে সর্বনিম্ন ২৩ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এছাড়া বান্দরবানে সর্বোচ্চ ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
গত দুই দিনে ভারী বৃষ্টি ও উচ্চ জোয়ারের কারণে লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় ৭৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে দুই লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
খুলনার কয়রায় কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ৩০০ মিটার ধসে পড়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে পটুয়াখালী ও কক্সবাজার জেলায় দুই সহস্রাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সারা দেশের মতো ঢাকায়ও গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এতে নিউমার্কেট, কাজীপাড়া, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তি পোহান হাজারো মানুষ।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম