প্রতীকী ছবি
আপনার বন্ধু কিংবা প্রিয়জনকে হোয়াটসঅ্যাপে যেসব ব্যক্তিগত কিংবা গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ পাঠান তা আপনারা দুইজন ছাড়াও অন্য কেউ পড়ে। হয়তো সুরক্ষিত (এনক্রিপ্টেড) ভেবে আমরা আমাদের সকল তথ্য কিংবা বার্তা শেয়ার করে যাই কিন্ত বাস্তবে তা কতটুকু সুরক্ষিত ভেবে দেখি না আমরা।
সম্প্রতি জানা গেছে, ফেসবুক মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা আমাদের পাঠানো বার্তাগুলোকে পড়ে এবং প্রয়োজন অনুসারে সেগুলো অনুসরণও করা হয়। তথাকথিত প্রাইভেট বা ডিজিটাল কোডিংয়ের মাধ্যমে সুরক্ষিত (এনক্রিপটেড) মেসেজ পড়ছেন ওইসব কর্মী। যার জন্য আলাদাভাবে রাখা হয়েছে এক হাজার কর্মী।
গত মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) মার্কিন গণমাধ্যম প্রো-পাবলিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। খবর নিউইয়র্ক পোস্ট'র।
শুধু তাই নয়, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের তথ্য বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা- যেমন, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সঙ্গেও শেয়ার করে।
এর আগে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বারবার দাবি করেছেন, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের বার্তা মূল কোম্পানি দেখে না। কিন্তু সম্প্রতি এই বিস্ফোরক প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো।
প্রো-পাবলিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ মডারেট করাসহ কল আড়ি পাততে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন ও সিঙ্গাপুরে রীতিমতো বহুতল অফিস রয়েছে ফেসবুকের। এসব অফিসের এক হাজার নিয়মিত কর্মী প্রতিনিয়ত কোটি কোটি বার্তা ও কল বিশ্লেষণ করছেন।
অবশ্য এসব কর্মীর অস্তিত্ব স্বীকার করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের দাবি, হোয়াটসঅ্যাপের নিজস্ব অ্যালগরিদমে সতর্কতার ব্যবস্থা আছে। জালিয়াতি, চাইল্ড পর্ন বা সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, এমন ঝুঁকিমূলক বার্তাগুলোকেই চিহ্নিত করে মডারেটরদের জানান ব্যবহারকারীরা। এরপর তারা সেগুলো বিশ্লেষণ করেন তারা।
রেডিওটুডে নিউজ/জেএফ