
২০২৫ সালের মে মাস ছিল বৈশ্বিকভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গরমের মাস—এমনটাই জানাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সিথ্রিএস)। একইসঙ্গে উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে অতিবিরল খরার কারণে ফসলহানি ও পানি সংকটের আশঙ্কা বাড়ছে।
কপার্নিকাসের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, মে ২০২৫-এ বৈশ্বিক গড় ভূ-পৃষ্ঠের বায়ু তাপমাত্রা ছিল ১৫.৭৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ১৯৯১-২০২০ সালের মে মাসের গড়ের তুলনায় ০.৫৩ ডিগ্রি বেশি। এই গড় তাপমাত্রা ১৮৫০-১৯০০ সালের প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ১.৪ ডিগ্রি বেশি। এটি এমন একটি সময়কালকে ছেদ করেছে, যেখানে বিগত ২২ মাসের মধ্যে ২১ মাসে তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল।
উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, মধ্য ও উত্তর ইউরোপ, দক্ষিণ রাশিয়া, ইউক্রেন ও তুরস্কে মে মাসে গড়ের তুলনায় অনেক কম বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও ১৯৭৯ সালের পর থেকে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত ও মাটির আর্দ্রতা রেকর্ড করা হয়েছে।
বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল যেমন: উত্তর আমেরিকা, আফ্রিকার হর্ন অঞ্চল, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার বেশিরভাগ স্থানেও মে মাস ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শুষ্ক ছিলো।
মে মাসে উত্তর-পূর্ব আটলান্টিক মহাসাগরের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা পৌঁছেছে ইতিহাসের সর্বোচ্চ মাত্রায়। এটি সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম