বৃহস্পতিবার,

০৯ মে ২০২৪,

২৫ বৈশাখ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

০৯ মে ২০২৪,

২৫ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

হুমায়ূনের ছবি চুরি: মামলা করলেন শাওন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৩:১৪, ৩০ জুন ২০২১

আপডেট: ০৪:৩৭, ৩০ জুন ২০২১

Google News
হুমায়ূনের ছবি চুরি: মামলা করলেন শাওন

হুমায়ূন আহমেদের আঁকা ছবি চুরির অভিযোগে মামলা করেছেন তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। ছবি: সংগৃহীত

শাওন বলেন, ‘ছবিগুলোর মূল্য শৈল্পিক বা আর্থিক নিক্তিতে পরিমাপ করা সম্ভব না। যা হুমায়ূন আহমেদের জীবনের শেষ দিনগুলোতে তার সঙ্গে পুত্র নিষাদের কাটানো সময়ের স্মৃতিবিজড়িত। আসামিদের কাছ থেকে ছবিগুলো উদ্ধার করা না গেলে তা বেহাত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত বা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের চিত্রকর্ম আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী, নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন। মঙ্গলবার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মামলাটি করেন।
শাওন দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন । তারা হলেন রুমা চৌধুরী ও তার স্বামী মঞ্জুরুল আজিম পলাশ।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৯ আগস্ট প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়, হুমায়ূন আহমেদ ২০১২ সালে ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকায় অবস্থানকালে অবসর সময়ে পুত্র নিষাদকে নিয়ে বেশ কিছু ছবি এঁকেছিলেন। সে সময় রুমা এবং বিশ্বজিতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় তার। এরই সূত্রে হুমায়ূন আহমেদ তার আঁকা ২৪টি ছবি প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যে ২০১২ সালের জুন মাসে আসামিদের দেন।

শর্ত ছিল, প্রদর্শনী শেষে তারা সেই ছবিগুলো ফেরিয়ে দেবেন। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর মেহের আফরোজ শাওন সন্তানসহ দেশে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে শাওন আসামিদের কাছে ছবিগুলো ফেরত চাইলে আসামিরা টালবাহানা শুরু করেন।

পরবর্তীতে নানাজনের সহযোগিতায় রুমা তার সাবেক স্বামী বিশ্বজিৎকে দিয়ে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হুমায়ূন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজের বাসায় ২৪টি ছবির মধ্যে ২০টি ফেরত দেন।

চলতি বছরের ৩১ মার্চ লিংকবাংলা শিল্প প্রদর্শনী নামক প্রদর্শনীর বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করেন পলাশ । এই পোস্টে হুমায়ূন আহমেদের আঁকা একটি ছবি প্রকাশ করা হয়। সেই ছবিটি হারিয়ে যাওয়া দাবি করা হুমায়ূন আহমেদের ৪টি ছবির মধ্যে ১টি বলে প্রতীয়মান হয়।
শাওন বলেন, ‘আত্মসাৎ করা হুমায়ূন আহমেদের অঙ্কিত ছবিগুলোর মূল্য শৈল্পিক বা আর্থিক নিক্তিতে পরিমাপ করা সম্ভব না। যা হুমায়ূন আহমেদের জীবনের শেষ দিনগুলোতে তার সঙ্গে পুত্র নিষাদের কাটানো সময়ের স্মৃতিবিজড়িত। আসামিদের কাছ থেকে ছবিগুলো উদ্ধার করা না গেলে তা বেহাত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত বা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এতে শুধু প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের পরিবারই নয়, সর্বোপরি দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হবে।’

এ অবস্থায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন মেহের আফরোজ শাওন।

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের