মানিকগঞ্জে সেতুর নিচ থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের অফিস সহকারী মো. শহিদুল ইসলাম খানের (৫৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে জাগীর সেতুর নিচ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
শহিদুল সিরাজগঞ্জ জেলার বাজনদারগাতী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও ২ মেয়েকে মানিকগঞ্জের গঙ্গাধরপট্টি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি দীর্ঘদিন মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে কর্মরত ছিলেন। বছর দেড়েক আগে কাশিমপুর কারাগারে যোগ দেন। তবে স্ত্রী ও তার ২ মেয়ে মানিকগঞ্জের ভাড়া বাসায় থাকত।
দৃর্বৃত্তরা শহিদুলকে হত্যা করে সেতুর উপর থেকে লাশ নিচে ফেলে দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
নিহতের মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহিয়া মালিহা জানান, তার বাবার সঙ্গে কারো শত্রুতা ছিল না। ঈদের ছুটি কাটাতে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা বাবা গাজীপুর থেকে মানিকগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন। রাত ১১টার দিকে মুঠোফোনে তার সঙ্গে শেষ কথা হয়। এ সময় তার বাবা জানান, তিনি বাসে করে মানিকগঞ্জে আসছেন।
রাত ১২টার পর থেকে শহিদুলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানান তার মেয়ে। তিনি আরও জানান, রাতে তার বাবা বাড়ি না ফেরায় আজ সোমবার সকালে মানিকগঞ্জ সদর থানায় বিষয়টি জানানো হয়। এ সময় পুলিশ জানায়, জাগীর সেতুর নীচে একটি লাশ পাওয়া গেছে। এ খবর শুনে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার বাবার লাশ শনাক্ত করেন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল উদ্দিন জানান, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে অফিস সহকারী শহিদুল ইসলামের নিখোঁজের বিষয়ে তার স্ত্রী শামছুন্নাহার জিডি করতে সকালে থানায় আসেন। এ সময় জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে জানানো হয়, জাগীর সেতুর নিচে একটি লাশ পাওয়া গেছে। পরে শহিদুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হলে নিহতের স্ত্রী শামছুন্নাহার লাশটি তার স্বামীর বলে নিশ্চিত করেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম