প্রতীকী ছবি
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদী ও লবনের ঘের দিয়ে রাতের অন্ধকারে মাদকের চালান আনা হচ্ছে। কোস্টগার্ড ও বিজিবির সদস্যরা পৃথক অভিযান চালিয়ে দুই কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ও ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছেন। দুইটি সংস্থার উদ্ধারকৃত মাদকের মূল্য প্রায় ৮ কোটি টাকা বলে তারা দাবি করছেন।
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা খন্দকার মুনিফ তকি জানান, গতকাল মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদীতে কোস্টগার্ডের টিম টহল দিচ্ছিল। ওই সময় দুইটি ইঞ্জিন চালিত নৌকার গতিবিধি সন্দেহ হয়। তখন কোস্ট গার্ডের সদস্যরা নৌকা দুইটিকে থামানোর সংকেত দেয়। নৌকা চালক কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত দিক পরিবর্তন করে পালানোর সময় কোস্টগার্ড তাদেরকে ধাওয়া করে। ওই সময় মাদক পাচারকারি দল একটি প্লাস্টিকের বস্তা পানিতে ফেলে মায়ানমার সীমান্তের দিকে পালিয়ে যায়।
কোস্টগার্ডের সদস্যরা ফেলে যাওয়া বস্তাটি উদ্ধার ও তল্লাশি করে এক কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ও ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে। উদ্ধারকৃত ক্রিস্টাল মেথ (আইস) মূল্য তিন কোটি টাকা বলে কোস্টগার্ড দাবি করছেন।
অপর দিকে বর্ডার গার্ড বিজিবি গোপন খবরের ভিত্তিতে জানতে পারে, টেকনাফ আলি খাল সংলগ্ন লবনের ঘের দিয়ে মাদকের বড় চালান আনা হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার রাতে বিজিবির একটি টিম লবন ঘেরের ভিতরে অবস্থান নেয়। রাত ১১টার দিকে ২ থেকে ৩ জন মাদক ব্যবসায়ী একটি সাদা চটের ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছিল। বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে দেখা মাত্র চেলেঞ্জ করলে তারা ব্যাগটি ফেলে দিয়ে স্থানীয় রঙ্গিখালি গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।
তখন বিজিবির সদস্যরা ব্যাগটি উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের এক কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করছে বলে দাবি করছেন। ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
টেকনাফ ব্যাটলিয়ন (২ বিজিবি) সীমান্তে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে মাদক পাচার প্রতিরোধ,অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত, মানবপাচারসহ সীমান্তে সংঘটিত সকল ধরনের সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে বিজিবি কাজ করছেন। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে মাদক বিরোধী অভিযান চালাচ্ছেন।
উল্লেখ্য এর আগেও বিজিবি, কোস্টগার্ডের টিম টেকনাফের বিভিন্ন স্পটে একাধিক অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক উদ্ধার করেছেন।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে