কুড়িগ্রামের দুই শহীদ শান্তিরক্ষীর দাফন সম্পন্ন

রোববার,

২১ ডিসেম্বর ২০২৫,

৭ পৌষ ১৪৩২

রোববার,

২১ ডিসেম্বর ২০২৫,

৭ পৌষ ১৪৩২

Radio Today News

সুদানে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত

কুড়িগ্রামের দুই শহীদ শান্তিরক্ষীর দাফন সম্পন্ন

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭:৫৭, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৭:৫৮, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

Google News
কুড়িগ্রামের দুই শহীদ শান্তিরক্ষীর দাফন সম্পন্ন

জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে কর্মরত অবস্থায় সুদানে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত কুড়িগ্রামের দুই সেনা সদস্য মো. মমিনুল ইসলাম (৩৮) ও শান্ত মণ্ডল (২৬)-এর  দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বি‌কে‌লে পা‌রিবা‌রিক গোরস্থানে তাঁদের দাফন সম্পন্ন হয়।

এর আগে ড্রোন হামলায় শাহাদাতবরণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় সদস্যের মরদেহ গতকাল শনিবার ঢাকায় পৌঁছায়। আজ রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে শান্ত ও ম‌মিনুলের মরদেহ উলিপুর হেলিপ্যাডে আনা হয়।

সেখান থেকে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিজ নিজ পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে, মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে দুই পরিবারে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। 

সুদানে শহীদ শান্ত মণ্ডল কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছাট মাধাই গ্রামের মণ্ডলপাড়ার সাবেক সেনাসদস্য নূর ইসলাম মণ্ডলের ছেলে। তাঁর বড় ভাই সোহাগ মণ্ডল বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত।

অন্যদিকে সৈনিক মো. মমিনুল ইসলামের বাড়ি একই জেলার উলিপুর উপজেলার উত্তর পান্ডুল গ্রামে। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক। বড় মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে, ছোট মেয়ের বয়স পাঁচ বছর।

গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের অধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেইসে এই বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়।

স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিটের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী জাতিসংঘের লজিস্টিক বেইসে আকস্মিক ড্রোন হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। 

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শান্ত মণ্ডল ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন। চলতি বছরের ৫ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে যান। তাঁর স্ত্রী দিলরুবা খন্দকার বৃষ্টি সন্তানসম্ভাবা।

শান্তর বড় ভাই সোহাগ মণ্ডল বলেন, ‘ড্রোন হামলার দিন বিকেলেও ওর (শান্ত) সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয়েছিল। রাতে ড্রোন হামলার খবর পাই। পরে শান্তর সহযোদ্ধাদের ভিডিও কল দিয়ে নিশ্চিত হই আমার ভাই আর নেই।’

অন্যদিকে, সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম প্রায় ১৮ বছর আগে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। বিদেশে যাওয়ার আগে তিনি ছয় মাস প্রশিক্ষণ নেন। চলতি বছরের অক্টোবরে ছুটিতে বাড়িতে এসে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে দোয়া নিয়ে যান।

মমিনুল ইসলামের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘যাওয়ার সময় কইছিল, মা কান্না করো না, আমি তাড়াতাড়ি ফিরমু। এইভাবে ফিরবে জানলে বাপধনকে মুই (আমি) বিদেশ যাবার দিনু না হয়।’

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের