
লালমনিরহাট জেলার তিনটি উপজেলার অন্তত ছয়টি সীমান্তপথে ৫৮ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে পুশইন করার চেষ্টা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বিজিবির কঠোর অবস্থান ও স্থানীয়দের সক্রিয় ভূমিকার কারণে ওই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরে প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর ভারতীয় এসব নাগরিককে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয় বিএসএফ।
বুধবার (২৮ মে) ভোরে লালমনিরহাটের আদিতমারী, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে একযোগে ওইসব মানুষকে বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা হয়। তবে বিজিবির বাধায় কেউই বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ঢুকতে পারেননি। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দারাও সীমান্তে সতর্ক অবস্থান নেন।
বিজিবি জানায়, ভারতে স্থাপিত কাঁটাতারের গেট খুলে একাধিক দলে ভাগ করে পুশইন করতে আনা হয় মানুষগুলোকে। তারা সবাই ভারতের আসাম রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর দুপুরে পতাকা বৈঠকে বসে বিজিবি ও বিএসএফ। ওই বৈঠকে বিজিবি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, বাংলাদেশ কোনোভাবেই অন্য দেশের নাগরিক গ্রহণ করবে না। ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বিএসএফ তখন প্রথমে আলোচনায় সময়ক্ষেপণ করে এবং সীমান্তের বাতি বন্ধ করে রাখে। অবশেষে রাতের দিকে একাধিক সীমান্তপথে পর্যায়ক্রমে ৫৮ জন ভারতীয়কে ফিরিয়ে নেয় তারা।
উল্লেখ্য, বুধবার ভোরে হাতীবান্ধার বনচৌকি দিয়ে আটজন এবং ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বুড়াসারডুবি এলাকায় ১৭ জনকে একযোগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে পুশইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। তবে বিজিবির বাধায় তা ব্যর্থ হয়। এ ঘটনার পর থেকে সীমান্তগুলোতে সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম