
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে নগদের ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন নাহিদ নিজেই। তবে এই পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমার পিএ থাকা অবস্থায় আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগ ছিল না। আমি উপদেষ্টা থাকাকালীন নগদের যাবতীয় কার্যক্রম বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে পরিচালিত হতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পদত্যাগের পর আতিক মোর্শেদ আর আমার সঙ্গে নেই। তিনি এখন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত দায়িত্বে নিয়োজিত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সাহেবের সঙ্গে কাজ করছেন। বর্তমানে তার সঙ্গে আমার কোনো পেশাগত বা ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও আমার নাম ও পরিচয় জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
নাহিদ ইসলাম আরও জানান, ‘যে সংবাদকে রেফারেন্স করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে, সেখানে আমার নাম পর্যন্ত নেই। অফিসিয়ালভাবে আমরা এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য প্রকাশ করব।’
এদিকে আজ দুপুরে আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে নগদের ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন, যেখানে তিনি আতিক মোর্শেদকে নাহিদ ইসলামের সাবেক পিএ হিসেবে উল্লেখ করে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
রাশেদ খান তার পোস্টে বলেন, ‘সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বিশেষ সহকারী আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলেও দায়িত্বে থাকা অবস্থায় নাহিদ ইসলাম কোনো ব্যবস্থা নেননি। এমনকি তদন্ত কমিটি গঠনেও দেখা যায়নি তাকে।’
তিনি আরও প্রশ্ন রাখেন, ‘এত বড় ধরনের অর্থনৈতিক অনিয়মের সঙ্গে কি নাহিদ ইসলামের পরামর্শও জড়িত ছিল? না হলে তিনি তখন চুপ ছিলেন কেন, বা এখনো চুপ কেন?’
নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো প্রমাণ বা তদন্ত এখনো পাওয়া না গেলেও, এনসিপি সূত্র জানিয়েছে, দলীয়ভাবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম