
গ্রাহক পর্যায়ে বেসরকারি খাতের তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কেজিতে কমল ২ টাকা ৪৭ পয়সা। চলতি অক্টোবরে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৪১ টাকা। গত মাসে দাম ছিল ১ হাজার ২৭০ টাকা; অর্থাৎ অক্টোবরে ১২ কেজিতে দাম কমেছে ২৯ টাকা। গত মাসে কমেছিল ৩ টাকা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাম ঘোষণা করে। আজ সন্ধ্যা ছয়টা থেকে নতুন দর কার্যকর হয়েছে।
সংস্থাটি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। তবে বাজারে নির্ধারিত দামে এলপিজি বিক্রি না হওয়ার অভিযোগ আছে। এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় গৃহস্থালির কাজে।
বিইআরসির নতুন দর অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ ভ্যাট) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১০৩ টাকা ৪০ পয়সা। গত মাসে তা ছিল ১০৫ টাকা ৮৭ পয়সা; অর্থাৎ এ মাসে দাম কেজিতে কমেছে ২ টাকা ৪৭ পয়সা। এই হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে। বাজারে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডার পাওয়া যায়।
সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮২৫ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটোগ্যাস) দাম প্রতি লিটার ৫৮ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মাসে তা ছিল ৫৬ টাকা ৭৭ পয়সা।
২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম