ভারতের দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন আতিশি মারলেনা । আজ (মঙ্গলবার) বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আম আদমি পার্টির (আপ) পরিষদীয় দলের নেতাদের বৈঠকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আতিশি মারলেনার নাম প্রস্তাব করা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই সবাই তা সমর্থন করেন। দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা শিগগিরই দেওয়া হবে।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আজ বিকেলে উপরাজ্যপাল বিনয় কুমার সাকসেনার সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র দেবেন। গত (রোববার) তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন। বলেছিলেন, দুই দিন পর মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবেন।
পরিষদীয় দলের বৈঠকে আতিশির নাম প্রস্তাব করেন দিলীপ পান্ডে। প্রত্যেকেই তা সমর্থন করেন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী আতিশি কালকাজি এলাকার বিধায়ক ছিলেন। তবে মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন না। গত বছর আবগারি মামলায় দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর ৪৩ বছরের অতিশিকে মন্ত্রিসভায় আনেন কেজরিওয়াল। দেওয়া হয় শিক্ষাদপ্তরের দায়িত্ব। এরপর পূর্তসহ একাধিক মন্ত্রণালয়। তারপর রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় সিং ও কেজরিওয়ালকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় আতিশি ও অন্য মন্ত্রীরা সরকারি কাজ চালিয়ে গেছেন।
কেজরিওয়াল রোববারই জানিয়েছিলেন, পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার সময় তিনি নভেম্বর মাসে মহারাষ্ট্রের সঙ্গে দিল্লি বিধানসভার ভোট করানোরও দাবি জানাবেন। তা মানা হোক না হোক, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আতিশি কাজ করতে পারবেন আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে তখনই।
দিল্লি বিধানসভার মোট আসন ৭০। আপ জিতেছিল ৬৭ টি আসনে। যদিও লোকসভার ৭ আসনই দখল করেছিল বিজেপি। গত লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন–সমঝোতা করেছিল আপ। কিন্তু লাভ হয়নি। এবার বিধানসভা ভোটে কী হবে, সেই জল্পনা শুরু হয়েছে। হরিয়ানায় লোকসভা ভোটে আসন–সমঝোতা হলেও বিধানসভা ভোটে দুই দলের বোঝাপড়া হয়নি।
কেজরিওয়ালের অনুপস্থিতিতে দলের প্রচারে এগিয়ে এসেছিলেন তাঁর স্ত্রী সুনীতা। বিধানসভা ভোটে তিনি প্রার্থী হন কি না, সেই আগ্রহও জিইয়ে থাকছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম