
তেহরান ও তেলআবিবের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে ইরানও তাদের প্রতিক্রিয়ামূলক হামলা বন্ধ করবে।
রোববার (১৫ জুন) তেহরানে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই ঘোষণা দেন।
ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে আরাঘচি বলেন, আমরা আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করছি। ইসরায়েল যদি হামলা বন্ধ করে, আমরা তখনই উত্তেজনা হ্রাসে প্রস্তুত থাকব।
ইরানি গণমাধ্যম দাবি করেছে, গত দুই দিনে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত এবং ৮০০ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে প্রায় ২০ জন শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানের পাল্টা আক্রমণে এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। তিনজন এখনো নিখোঁজ।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার রাতে ইরান প্রায় ৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যার কয়েকটি ইসরায়েলের হাইফা অঞ্চলের একটি তেল শোধনাগারে আঘাত হানে। প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, এই হামলায় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরাও ইরানের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঘচি অভিযোগ করেন, জায়োনিস্ট শাসকগোষ্ঠী আন্তর্জাতিক আইনের নতুন সীমা লঙ্ঘন করেছে। তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে হামলা চালিয়ে অঘোষিত যুদ্ধের সূচনা করেছে।
ইসরায়েলের পাল্টা অবস্থান
খবরে বলা হয়, ইসরায়েল বর্তমানে ইরানের ইসফাহান প্রদেশের একটি প্রতিরক্ষা স্থাপনা এবং শিরাজে অবস্থিত একটি ইলেকট্রনিক্স কারখানাকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের সাধারণ জনগণকে অনুরোধ করেছে যেন তারা অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোর আশপাশ থেকে সরে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সতর্ক বার্তা
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলার চেষ্টা করে, তাহলে এর পরিণাম হবে ভয়াবহ।”
চলমান উত্তেজনার জেরে উভয় দেশই তাদের আকাশসীমা আংশিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ চলাচলেও ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম