
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন যে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে শিগগিরই একটি শান্তিচুক্তি হতে যাচ্ছে। তার এই মন্তব্যে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনার মধ্যে নতুন করে কূটনৈতিক আলোচনার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, "আমরা খুব শিগগিরই ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি দেখব। অনেক কল ও বৈঠক এখন চলছে।" তবে তিনি এসব আলোচনার বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি। উল্লেখযোগ্য যে, এর আগে ইসরায়েল যখন ইরানের ওপর বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করেছিল, তখন ট্রাম্প এই আক্রমণকে ‘চমৎকার’ এবং ‘খুব সফল’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। অর্থাৎ, শুরুতে ইসরায়েলের হামলার প্রতি সমর্থন জানালেও এখন তিনি শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে রিপোর্টার রোসিল্যান্ড জর্ডান জানান, ট্রাম্পের বক্তব্যে উল্লেখ করা ‘অনেক কল ও বৈঠক’-এর বিষয়টি এই প্রথম জনসমক্ষে এসেছে। কারণ, বর্তমান মার্কিন প্রশাসন এ নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক তৎপরতা নিয়ে এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে তা হলো — মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন কূটনৈতিক উপস্থিতি আংশিকভাবে সীমিত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের এই আক্রমণের সম্ভাবনা আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিল ওয়াশিংটন।
এছাড়া, মার্কিন সেনাবাহিনীও তাদের প্রস্তুতি কিছুটা জোরদার করেছে, যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তবে মার্কিন প্রশাসনের স্পষ্ট অবস্থান হলো, তারা ইরান-ইসরায়েল সংঘাতকে আর বাড়তে দিতে চায় না। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র শনিবার জানিয়েছেন, ওমানের নির্ধারিত রোববারের আলোচনাটি যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বাতিল হলেও, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনো আলোচনায় আগ্রহী। ট্রাম্পের এই আকস্মিক মন্তব্য মার্কিন প্রশাসনের কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে আরও রহস্য এবং দ্বৈত বার্তার সৃষ্টি করেছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম