মঙ্গলবার,

৩০ এপ্রিল ২০২৪,

১৭ বৈশাখ ১৪৩১

মঙ্গলবার,

৩০ এপ্রিল ২০২৪,

১৭ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

মাদক কারবারে বদির ভাইদের ‘সংশ্লিষ্টতা’ পেয়েছে সিআইডি

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮:৩৪, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

Google News
মাদক কারবারে বদির ভাইদের ‘সংশ্লিষ্টতা’ পেয়েছে সিআইডি

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাইয়ের মাদক কারবারে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী। তিনি বুধবার (১৭ এপ্রিল) সিআইডি সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন।

বদির দুই ভাই হলেন- আব্দুস শুকুর ও আমিনুর রহমান। সব মিলিয়ে সিআইডি মোট দশজনকে শনাক্ত করেছে, যারা মাদকের কারবারে গডফাদার হয়ে উঠেছেন। পুলিশ বলছে, ৩৫টি মাদক মামলায় নাম আসা গডফাদারদের পুরো সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৭৮ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা।

বদির দুই ভাইয়ের মাদক কারবারে সংশ্লিষ্টতার বিষয় তুলে ধরে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, কক্সবাজারে মাদক কারবারের দুই গডফাদারের খোঁজ পাওয়া গেছে। তারা আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির ভাই। মাদকের ব্যবসা করে তাদের জমিজমা, বাড়ি-গাড়িসহ বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার তথ্যও এসেছে সিআইডির অনুসন্ধানে। তাদের বিষয়ে এখনো অনুসন্ধান চলছে। তাদের নামে আরো সম্পত্তি পাওয়া যাচ্ছে।

সিআইডি প্রধান বলেন, ২০২০ সালের পর থেকে ৩৫টি মাদক মামলার তদন্ত করে সিআইডি। এসব মামলায় নাম আসা গডফাদারদের সম্পদের যে হিসাব পাওয়া গেছে, তার মোট পরিমাণ প্রায় ১৭৮ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা। সিআইডি প্রধান বলেন, ৩৫টির মধ্যে তিনটি মামলার গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি এবং ৮ কোটি টাকা দামের দুটি বাড়ি আদালতের নির্দেশে ক্রোক করা হয়েছে। মানি লন্ডারিং মামলায় ব্যাংকে তাদের গচ্ছিত প্রায় এক কোটি টাকাও ফ্রিজ করা হয়েছে।

এর বাইরে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা মূল্যের আরো ৩৫ একর জমি, ১২টি বাড়ি, একটি গাড়ি ক্রোকের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান সিআইডি প্রধান। তিনি বলেন, সিআইডি প্রথমে মাদক সম্পৃক্ত মানিলন্ডারিং মামলার তদন্তে গভীরে প্রবেশ করে। পরে মাদক ব্যবসায়ী ও গডফাদারদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে এবং তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংকে থাকা অর্থ ফ্রিজ করতে সক্ষম হয়।

পুলিশ সদর দফতরের তথ্য উদ্ধৃত করে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৮০ হাজার মাদক মামলা হয়। ২০২১ সালে সারা দেশে ৭৯ হাজার ৬৭৫টি, ২০২২ সালে ৮২ হাজার ৬৭২টি এবং ২০২৩ সালে ৭৬ হাজার ৪০৩টি মাদক মামলা হয়েছে। মোহাম্মদ আলী বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় যেসব মাদক মামলা হয়, তাতে শুধু মাদক বহনকারীদের গ্রেফতার করা হয়, কিন্তু গডফাদাররা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে। যেহেতু আমরা গডফাদারদের নিয়ে কাজ করছি দেখি কতজনকে ধরতে পারি। এখন পর্যন্ত দশটি মামলায় ১২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে সিআইডি কর্মকর্তা আলী বলেন, তাদের মধ্যে ১০ জন গডফাদার রয়েছেন।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের