সোমবার,

০৬ মে ২০২৪,

২৩ বৈশাখ ১৪৩১

সোমবার,

০৬ মে ২০২৪,

২৩ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

সনদ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত: কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:২৪, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ১১:২৬, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

Google News
সনদ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত: কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে

সনদ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালত এ আদেশ দেন।

মিরপুর মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন জানান, এ থানার মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে এদিন সেহেলা পারভীনকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আবদুর রহমান জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আগামীকাল বুধবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করে সেহেলা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল সেহেলা পারভীনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। ওইদিন আদালতে পুলিশের দেওয়া রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে পরিদর্শন শাখা থেকে কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে পোস্টিংয়ের জন্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা এবং পরবর্তীতে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না মর্মে তিন লাখ টাকা সেহেলা পারভীনকে দিয়েছেন। এই মর্মে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন এ কে এম শামসুজ্জামান।

পরবর্তীতে গত ২০ এপ্রিল (শনিবার) সেহেলা পারভীন জিজ্ঞাসাবাদে একে এম শামসুজ্জামানের নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন ও পোস্টিং সংক্রান্ত সাড়ে ৫ লাখ টাকার কথা কৌশলে এড়িয়ে যান। সেহেলা পারভীনের স্বামী মো. আলী আকবর খান কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ায় তার স্বামীর দ্বারা ইতোপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামি একে এম শামসুজ্জামানকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন লাখ টাকা গ্রহণ করেছিল বলে স্বীকার করেন। সেহেলা পারভীনের সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আসামি একে এম শামসুজ্জামান নির্ভয়ে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে দেশব্যাপী বিভিন্ন সার্টিফিকেট প্রত্যাশীদের কাছে বিক্রি করে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। মামলার ঘটনার সঙ্গে আসামি সেহেলা পারভীনের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের