গ্রেনেড উদ্ধারের পুরনো ছবি দিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পেজ থেকে ছড়ানো হচ্ছে অপতথ্য। এটি শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, গ্রেনেড উদ্ধারের পুরনো ছবি দিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পেজ থেকে ছড়ানো হচ্ছে অপতথ্য। ২০২৪ সালের ৮ নভেম্বর যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মরাগাছ তলা এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় নয়টি গ্রেনেড উদ্ধার করে।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের শেয়ার করা ছবিটি সেই ঘটনার।
বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধান টিম জানায়, শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর ডেমরার সারুলিয়া এলাকায় গরুর হাটের পাশে ঝোপ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় চারটি গ্রেনেড উদ্ধার করে র্যাব-১০। এই তথ্যের ভিত্তিতে খন্দকার তারেক রায়হান নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ছবিসহ একটি পোস্ট গতকাল রোববার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটে নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
পোস্ট শেয়ার করে জয় লিখেছে, ‘ইউনূস সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে পাকিস্তান-নির্মিত গ্রেনেড উদ্ধার।’
বাংলাফ্যাক্টের যাচাইয়ে দেখা গেছে যে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পোস্টের ক্যাপশনের দাবি সত্য নয় এবং খন্দকার তারেক রায়হান নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের শেয়ার করা ছবিটি গতকাল ডেমরার সারুলিয়া থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় চারটি গ্রেনেড উদ্ধারের নয়।
২০২৪ সালের ৮ নভেম্বর যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মরাগাছ তলা এলাকা থেকে নয়টি গ্রেনেড পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। ছবিটি সেই ঘটনার।
গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পাশাপাশি দেশেও বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, চব্বিশের আন্দোলনে অংশ নেয়া দল ও সংগঠনের বিরুদ্ধে গুজব, ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের ডিজিটাল ভূ-দৃশ্য নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। একদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো যেমন ভুয়া তথ্য, গুজব ও বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট ছড়ানোর এক উর্বর ক্ষেত্র হয়ে উঠছে, অন্যদিকে দেশি-বিদেশি অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দ্বারা তৈরি করা সাজানো ভিডিও, ছোট নাটিকা বা চিত্রনাট্যের অংশ বিশেষকে বাস্তব ঘটনা দাবি করে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে সেগুলোকে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
‘বাংলাফ্যাক্ট’ প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ পিআইবি’র ফ্যাক্টচেক, মিডিয়া রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস টিম, যারা নিয়মিত ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য যাচাই করে সত্য তুলে ধরে এবং গণমাধ্যম ও সংবাদ নিয়ে গবেষণা করে।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া শত শত ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান বাংলাফ্যাক্ট। বাংলাদেশে চলমান গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ করে জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

