ছবি: জাবিদ হাসান ফাহিম
দেবী দূর্গাকে প্রনাম জানাতে মন্দিরে-মন্দিরে ঘুরছেন ভক্তরা। করোনার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেবীকে অঞ্জলি প্রদান করছেন তারা। এ যেন জগজ্জননীর আগমনে শহরজুড়ে প্রাণের উচ্ছাসে মেতেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
পুরাণ মতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দশভূজা দেবী দূর্গা স্বামীগৃহ কৈলাশ থেকে চার সন্তানকে নিয়ে ফিরে আসেন পিতৃভূমে। মহামারীর বাধ্যবাধকতায় দুই বছর পর দেবী দর্শনে এসে ভক্তদের প্রার্থনা, মহামায়ার আগমনে বিনাশ হোক মহামারী করোনার।
মহাষষ্ঠির সন্ধ্যায় আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে দূর্গতিনাশিনী দেবীকে প্রধান আসনে অধিষ্ঠিত করা হয়, যার মাধ্যমে দূর্গাপুজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় বলে জানান গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের প্রধান পুরোহিত।
এদিকে দুপুরে গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে এসে র্যাব মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কোন জঙ্গি হামলা ও নাশকতার তথ্য নেই। এসময় দেশের সকল পূজা মন্ডপে র্যাবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার কথাও জানান তিনি।
ব্রহ্মাদেবের উপদেশে রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে শ্রীরাম চন্দ্র, দূর্গা পূজার সূচনা করেছিলেন, সেই থেকেই জগতের সকল অশুভ শক্তির বিনাশে দেবী দূর্গার অর্চনা করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে