দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার ঐতিহাসিক রায়ে ৪৯ আাসামিকে সাজা দেওয়া হয়। নিম্ন বিচারিক আদালতের গন্ডি পেরিয়ে মামলাটি এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন।
বছর এবং ক্রম অনুসরণ করা হলে উচ্চ আদালতে মামলাটির ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হতে সময় লাগবে আরও চার বছর। তবে বিষয়টিতে শুনানির জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামীলীগের সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের ওই দুই মামলায় ২০১৮ সালের ১০ই অক্টোবর অভিন্ন রায় দেয় বিচারিক আদালত। সে বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার রায়সহ ৩৭ হাজার পৃষ্ঠার নথি এসে পৌঁছায় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায়। এক বছর আগে পেপারবুক তৈরি হয়েছে ঠিকই কিন্তু করোনার কারনে থমকে ছিল মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিলেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলে শুনানি শুরু হবে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অবস্থান কি হবে সে সম্পর্কেও কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেছেন, স্বাভাবিক নিয়মে শুনানি হলে সময় লাগবে আরও অন্তত চার বছর। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হলে যে কোন সময়ই শুনানি শুরু হতে পারে। উচ্চ আদালতে তার মক্কেলরা ন্যায়বিচার পাবেন এমন প্রত্যাশার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
চাঞ্চল্যকর ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং তৎকালীন বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিলো ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন। এছাড়া বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরিসহ ১৯ জনকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদন্ড। এর বাইরে আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় আদালত। আসামিদের মধ্যে অন্য একটি মামলায় মুফতি হান্নানসহ ৩ জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আর পলাতক রয়েছেন তারেক রহমানসহ ১৬ আসামি।
রেডিওটুডে নিউজ/জেএফ