অবৈধ সরকার পরিকল্পিতভাবে হীন উদ্দেশ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার লক্ষ্যে ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি, জীবনমান, মূল্যবোধবিরোধী পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভ্রান্ত-বিকৃত-অসত্য তথ্য শিক্ষা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ অভিযোগ করেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবারের ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
সভায় এই অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে পাঠ্যবইগুলো বাতিল করে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস এবং মূল্যবোধের ওপর ভিত্তিকরে বই রচনার দাবি জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় আরও অংশ নেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
সভায় ২৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পদক্ষেপগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া, চলমান আন্দোলন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও অনির্বাচিত অবৈধ সরকারের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে দমন করার জন্য হত্যা, মিথ্যা মামলা, গণগ্রেপ্তার, বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি ও হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। অবিলম্বে আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
সভায় উৎপাদন শুরুর মাত্র ২৭ দিনের মাথায় কয়লার অভাবে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ, ডলারের মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ৩টি জাহাজের চিনি ও ভোজ্যতেল খালাস করা যাচ্ছে না, ডলার সংকটের প্রভাব এবার হজযাত্রীদের ওপরেও পড়বে, এলসি গ্রহণে বিদেশি ব্যাংকের অনীহা সামগ্রিকভাবে ডলার সংকট অর্থনীতিতে গভীর সংকট সৃষ্টি করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সভা মনে করে এই অবৈধ সরকারের অর্থনীতির সর্বক্ষেত্রে লাগামহীন দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণেই বর্তমানে ডলার সংকট ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অপ্রয়োজনীয়, অনুৎপাদনশীল খাতে ডলার ব্যয় এবং অপকৌশলে ডলার বিদেশে পাচার করার ফলেই এই অচলাবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সুদূর প্রসারী নেতিবাচক প্রভাব ফেলাবে বলে বিএনপি মনে করে।
সভায় অর্থনীতির সংকট সৃষ্টির ফলে জন-জীবনে যে অপরিসীম দূর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে তার জন্য এই অবৈধ সরকারকেই দায়ী করা হয় এবং ব্যর্থতার দায় নিয়ে তাদের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
সভায় সদ্য প্রকাশিত স্কুলের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস ও বিষয়বস্তুর বিকৃতি, ভুলতথ্য ও ভাষাগত ভুলের দোষে দুষ্ট এবং ধর্মীয় মুল্যবোধে আঘাত বিষয়ে তীব্র অসন্তোষ জানানো হয়।
রেডিওটুডে নিউজ/মুনিয়া