
রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের একটি রূপরেখা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এনসিপির মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করেছি। দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় এর প্রতিফলন থাকবে।
মঙ্গলবার (৬ মে) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে এ সংস্কার প্রস্তাব হস্তান্তর করেন এনসিপির নেতারা।
এ বিষয়ে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে যেন অতীতের মতো ফ্যাসিবাদী অবস্থার তৈরি না হয়, আমরা সেজন্য মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি।
তিনি বলেন, মৌলিক সংস্কার বলতে কোনো নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার নয় বা আসন ভিত্তিক দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সংবিধান সংস্কারের মতো বিষয়গুলোকে মনে করি না। বরং ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহিতা ও বিকেন্দ্রীকরণ- এ তিন বিষয়কে অর্জন হচ্ছে মৌলিক সংস্কারের মূল ভিত্তি।
আখতার জানান, আজ আমরা জনপ্রশাসন ও দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন নিয়ে কথা বলবো। আগের বিষয়গুলো নিয়েও কথা হবে।
আখতার হোসেনের নেতৃত্বে দলটির যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ার তুষার, জাভেদ রাসিন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম উপস্থিত আছেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন- কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
শুরুতে আলী রীয়াজ বলেন, এনসিপির মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করেছি। দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় এর প্রতিফলন থাকবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম