সোমবার,

০৯ জুন ২০২৫,

২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সোমবার,

০৯ জুন ২০২৫,

২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

Radio Today News

আল্লাহ`র নিকট তাওবা কবুলের কিছু দোয়াসমূহ

রেডিও টুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:০৪, ১৯ এপ্রিল ২০২৩

Google News
আল্লাহ`র নিকট তাওবা কবুলের কিছু দোয়াসমূহ

আল্লাহর নিকট তাওবা কবুলের কিছু দোয়াসমূহ

মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট তওবা করা বান্দার জন্য এক মহান ইবাদত স্বরূপ। কোনো গুনাহ হয়ে গেলে দ্রুত তাওবা করা এক বিশেষ গুন। যারা কোন পাপ কাজ করে তওবা করে না কিংবা তাওবা করতে অনেক সময় নেয়, তখন তাদের অন্তর ক্রমান্বয়ে কালো দাগে ভরে যায় কোন গুনাহকেই তাদের আর গুনাহ বলে মনে হয় না। তাই অতীতের কোন গুনাহের জন্য আল্লাহর নিকট অবিলম্বে তাওবা করার বিকল্প নেই।

বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষ্পাপ হওয়া সত্বেও প্রতিদিন আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনায় মশগুল থাকতেন। এক হাদীস হতে বর্ণিত হয়েছে, আবু হুরায়রা ( রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ ( সা.) কে বলতে শুনেছি আল্লাহর শপথ আমি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে ৭০ বারেরও বেশি ইস্তেগফার ও তওবা করে থাকি। (বুখারী : ৬৩০৭)

নবীজির প্রত্যেকটি কাজ তার উম্মতের জন্য শিক্ষা। তাই এই রমজানের শেষ কয়েকদিনে ইফতারের পূর্ব মুহূর্ত, এবং ফজরের নামাজের পর তাওবা কিংবা ইস্তেগফার করার জন্য বিশেষ উপযুক্ত সময়। এছাড়াও জুম্মার দিন, আরাফার দিন এবং প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর দোয়া কিংবা ইস্তেগফার করলে তা কবুলের সম্ভাবনা অনেক বেশি।

চলুন তাহলে জেনে আসা যাক তাওবার সময় পাঠ করা কিছু দোয়া সমূহ সম্পর্কে :

১. উচ্চারণ : 'সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি'।
অর্থ : 'আমি আল্লাহর প্রশংসা সহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি, এবং তার নিকট তাওবা করছি'। আয়েশা (রা.) বলেন, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুর আগে এই ইস্তেগফারটি অধিক মাত্রায় পড়তেন (মুসলিম রিয়াদুস সালেহীন : ১৮৮৬)

২. উচ্চারণ : 'সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া বিহামদিকা, আল্লাহুম্মাগফিরলি'।
অর্থ : 'হে আমার রব আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন'। আয়েশা (রা.) বলেন, কোরআনের নির্দেশ অনুযায়ী  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকু ও সেজদায় গিয়ে এই ইস্তেগফারটি পড়তেন। (বুখারী : ৭৯৪)

৩. উচ্চারণ : 'আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি'।
অর্থ : 'আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং তার নিকট তাওবা করছি'। আবু হুরায়রা (রা ) বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে আর কাউকে এটি অধিক পরিমাণে পড়তে দেখিনি'। (সহীহ ইবনু হিব্বান : ৯২৮)

৪. উচ্চারণ : 'আস্তাগফিরুল্লাহ হাল আজিমাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি'।
অর্থ : 'মহান আল্লাহর কাছে আমি ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই, যিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং আমি তার কাছে তাওবা করি'। এই মর্মে এক হাদীস হতে এসেছে, জায়েদ (রা ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে , যে ব্যক্তি এই দোয়া পড়ে  তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।যদিও সে রণক্ষেত্র থেকে পলায়ন করে থাকে। (তিরমিজি : ৩৫৭৭)

ভুল করে কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনভাবে কোন বান্দার দ্বারা যদি কোন গুনাহ হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক আল্লাহর নিকট ইস্তেগফার করার বিধান রয়েছে। তাওবা কিংবা ইস্তেগফারের মাধ্যমেই বড় কোন গুনাহ পাওয়ার আশা থাকে।

মহান রাব্বুল আলামিন বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহকে রমজানের এই শেষ কয়েক দিনে বেশি বেশি আল্লাহর নিকট তাওবা এবং ইস্তেগফার করার তাওফিক দান করুন।
(আমিন )

এস আর

সর্বশেষ