ছবি: সংগৃহীত
আগের ম্যাচে সিরিজ নিশ্চিত হওয়ায় আজকের ম্যাচটি ছিল সিরিজ শেষ হওয়ার আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। তবে বিশ্বকাপের আগে দুই দলই ম্যাচটি জিততে মরিয়া। স্কোয়াডে থাকা অন্যদের পরখ করে নিতে চার পরিবর্তন নিয়ে মাঠে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের মতো টস জিতে আজও নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং বেছে নেয়া। তবে ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙ্গে আজ সিরিজে প্রথমবারের মতো কিউইদের উদ্বোধনী জুটিতে অর্ধশতক।
উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশের বেশিরভাগটাই ফিন অ্যালেনের ব্যাটে। পাওয়ার প্লের পুরো ফায়দা নিয়ে সিরিজে প্রথমবারের মতো এতো দ্রুত রান তুললো কিউইরা। সিরিজে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া তাসকিন যেখানে প্রথম দু ওভারে দিয়েছেন সাত রান সেখানে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া শরীফুল দিয়েছেন ১৯ রান।
অবশ্য নিউজিল্যান্ডের প্রথম দুটি উইকেটও বাঁহাতি পেসার শরীফুলের। প্রথমে ১২ বলে ১৭ রান করা রাচিন রবীন্দ্রকে মুশফিকের দারুণ এক ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান। পরের বলে ফিন এলেনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান এলেন। কিন্তু ঠিকই পরের বলে সেই এলেনকেই বোল্ড করে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন শরীফুল।
চতুর্থ বিশেষজ্ঞ কোনো বোলার না থাকায় এদিন মাহমুদুল্লাহর পর সৌম্য, আফিফ এমনকি শামীম পাটোয়ারীও বোলিংয়ে এসেছেন। কোনো বোলারকে দিয়ে একটানা বল না করিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বল করিয়েছেন ক্যাপ্টেন রিয়াদ। তারই সুফল এনে দেন আফিফ। অফ স্ট্যাম্পের বেশ বাইরের বল খেলতে গিয়ে সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আফিফের বলে আউট হন উইল ইয়াং।
ছয় রান পরই ৯ রান করা কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ফিরে যান নাসুমের শিকার হয়ে। এরপর পঞ্চম উইকেটে ৩৫ রান যোগ করেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথাম আর নিকোলস। আজ ম্যাচের শুরু থেকে দারুণ বল করতে থাকা তাসকিন নিজের তৃতীয় ওভারে ২০ রান করা নিকোলসকে সোহানের ক্যাচ বানিয়ে নিজের প্রথম উইকেট শিকার করেন।
এরপর অবশ্য আর কোনো উইকেট না হারিয়ে সিরিজে প্রথমবারের মতো দেড়শোর বেশি স্কোর সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। ষষ্ঠ উইকেটে ৪৩ রান যোগ করে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান লাথাম আর ম্যাকঞ্চি। শেষ পর্যন্ত সিরিজে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে অপরাজিত থাকেন লাথাম আর ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাকঞ্চি। ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৬১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে