
শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রী, লেখক, সাহিত্যিক ও সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সারের মরদেহে বিনম্র শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। রোববার বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয় তার মরদেহ।
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ আপামর জনতা। ঘণ্টাব্যাপী শ্রদ্ধা নিবেদন চলে। সেখান থেকে দুপুর ১২টার দিকে বাংলা একামেডিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বর্ণাঢ্য জীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে স্নাতকোত্তর করে পান্না কায়সার বেগম বদরুন্নেসা কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৯০ সালে শিশু-কিশোরদের সংগঠন খেলাঘরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যও ছিলেন তিনি।
তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রী এবং অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা। মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে গুণী এই মানুষকে।
শুক্রবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে ৭৩ বছর বয়সে মৃত্যু হয় সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক পান্না কায়সারের।
রেডিওটুডে/এমএমএইচ