
রাতের আঁধারে পাকিস্তান ও পাকিস্তান শাসিত আজাদ কাশ্মীরে হামলা চালিয়েছে ভারত। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে অভিযান মোট ৯ স্থানে আঘাত হানার দাবি করে ভারতীয় বাহিনী। আবার পাকিস্তান সেনা দাবি করেছে, ছয় স্থানে ২৪টি আঘাত হানা হয়েছে। এসব আঘাতে আটজন শহীদ হয়েছে, আহত ৩৫ জন।
ভারতের এই অভিযানের পাল্টা দিতে খুব একটা সময় নেয়নি পাকিস্তান। ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে পাকিস্তানের সেনা। সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে সাতজন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৩৮ জন।
ভারতের হামলার পর মুখ খুলেছে ইসলামাবাদও। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ভারত আবার আক্রমণ করলে পাকিস্তানও চুপ করে বসে থাকবে না। আর ভারত যদি বিরত থাকে, তবে পাকিস্তান আর কোন হামলা চালাবে না। দুই পক্ষেরই উচিৎ বিষয়টি এখানেই থামিয়ে দেয়া।
আসিফ বলেছেন, গত দুই সপ্তাহ ধরেই বলে আসছি ভারতের সঙ্গে শত্রুতার রাস্তায় যাবো না। কিন্তু যদি আমাদের উপর আক্রমণ করা হয়, আমরাও জবাব দেব। ভারত পিছু হটলে আমরাও চুপচাপ থাকব। দিল্লিকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ভারত আক্রমণের চেষ্টা করলে পাকিস্তান চুড়ি পরে বসে থাকবে না।
ভারতের হামলার পর পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিয়েছে। কাশ্মীরের পুঞ্চ ও রাজৌরি সেক্টরের ভীমবের গলি এলাকায় গুলিবর্ষণ করেছে পাকিস্তান সেনা। এছাড়া বারামুল্লা জেলার উরি সেক্টরেও বোমাবর্ষণ করেছে পাকিস্তানের সেনা। এই হামলায় মৃত অন্তত সাত বলে জানা গেছে। আহত অন্তত ৩৮।
পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ভারতের এই পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধের’ আগমন বলে অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে অপারেশন সিঁদূরের যথাযথ জবাব দিতে নিজ দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন তিনি। ভারতকে সময়মতো ‘সমুচিত জবাব’ দেওয়ার জন্য সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছের শেহবাজ।