কান্দাহার সিটির একটি সড়ক
এবার আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার দখলের দাবি করেছে তালেবান, যা জঙ্গিদের জন্য একটি বড় জয় হবে।স শহরটি একসময় তালেবানদের শক্ত ঘাঁটি ছিল এবং কৌশলগতভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। এখনও পর্যন্ত জয়ের সবচেয়ে নাটকীয় ধারায় বেশ কয়েকটি শহর তালেবানের হাতে পতিত হয়েছে।
এদিকে আফগানিস্তানে তালেবানের সাথে সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী চলমান সহিসংতার মধ্যেই মার্কিন দূতাবাস থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিতে সহায়তা করার জন্য আফগানিস্তানে প্রায় ৩ হাজার সৈন্য পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে, তারা বিশেষ ফ্লাইটে দূতাবাসের কর্মীদের একটি "উল্লেখযোগ্য" সংখ্যক কর্মীকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করার জন্য কাবুলের বিমানবন্দরে সেনা পাঠাচ্ছে।
ওদিকে যুক্তরাজ্য বলেছে যে, তারা দেশ ছেড়ে যাওয়া ব্রিটিশ নাগরিকদের সহায়তা প্রদানের জন্য স্বল্পমেয়াদী ভিত্তিতে প্রায় ৬০০ সৈন্য মোতায়েন করছে। কাবুলে ব্রিটিশ দূতাবাসে কর্মরত কর্মীদের সংখ্যা কমিয়ে মূল দল করা হয়েছে।
কান্দাহার কেনো এত গুরুত্বপূর্ণ?: কান্দাহার তালেবানের জন্মস্থান এবং পূর্বের শক্ত ঘাঁটি- শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া জঙ্গিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার হবে।
কেন্দ্রে হামলা চালানোর আগে তারা কয়েক সপ্তাহ ধরে শহরের উপকণ্ঠ দখল করেছিল। বুধবার তালেবানরা কান্দাহারের কেন্দ্রীয় কারাগার ভেঙ্গে ফেলে এবং বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিতে দেখা যায় যে শহরের কেন্দ্রস্থলে বিদ্রোহীরা রয়েছে।
একজন বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, সরকারি বাহিনী দক্ষিণাঞ্চলের বাইরে একটি সামরিক স্থাপনায় ব্যাপকভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
কান্দাহারকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় কারণ এর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, এর কৃষি ও শিল্প উৎপাদন এবং দেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে এর অবস্থান। বিবিসি অনলাইন।
রেডিওটুডে নিউজ/এসআই