বুধবার,

০৭ মে ২০২৫,

২৩ বৈশাখ ১৪৩২

বুধবার,

০৭ মে ২০২৫,

২৩ বৈশাখ ১৪৩২

Radio Today News

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোনের চুক্তি স্বাক্ষর

রেডিও টুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৫:৫৩, ৬ মে ২০২৫

Google News
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোনের চুক্তি স্বাক্ষর

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বিগত ৪৭ বছর ধরে সারাদেশে আলোকিত মানুষ গড়ার সমৃদ্ধ স্বপ্ন নিয়ে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নানাবিধ উৎকর্ষ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম এর আওতায় বইপড়া কার্যক্রম সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। বর্তমানে সারাদেশে এই কার্যক্রমের আওতায় ১৪০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর প্রায় লক্ষ ছাত্রছাত্রী বইপড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে।

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম [বইপড়া কার্যক্রম] এর মহানগরকেন্দ্রিক পুরস্কার বিতরণ উৎসব আয়োজনে ২০০৪ সাল থেকে সহযোগিতা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরেও গ্রামীণফোন ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী বরিশাল এই ৫টি মহানগরে পুরস্কার বিতরণ উৎসবের আয়োজন উৎসবে পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজয়ীদের পুরস্কারের বই প্রদান করবে।

আগামী ১০ মে ২০২৫ তারিখে ঢাকা মহানগরের পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এই উৎসব। এরপর ধারাবাহিকভাবে ১৬ মে বরিশাল, ২৩ ২৪ মে চট্টগ্রাম, ১১ জুলাই খুলনা ১৯ জুলাই রাজশাহী মহানগরের পুরস্কার বিতরণ উৎসব আয়োজন করা হবে। এই পাঁচটি মহানগরের পুরস্কার বিতরণ উৎসবে বিভিন্ন স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ২০ হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী বইপড়ার কৃতিত্বের জন্য স্বাগত, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন সেরাপাঠক এই চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার গ্রহণ করবে।

উপলক্ষ্যে আজ মে ২০২৫ রবিবার জিপি হাউজ, বসুন্ধরায় গ্রামীণফোন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ গ্রামীণফোনের ২০০৪ সাল থেকে ধারাবাহিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই সহযোগিতার ফলে দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম এর ব্যাপ্তি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বইপড়ার আগ্রহ অনেক বেড়েছে; তেমনি সর্বসাধারণের কাছে গ্রামীণফোনের জনকল্যাণধর্মী ভাবমূর্তি প্রতীয়মান হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি এই সহযোগিতা অব্যাহতভাবে চলবে।

গ্রামীণফোন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব ইয়াসির আজমান বলেন, “আজকের তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তাই তরুণদের সময়োপযোগী দক্ষতা বাড়াতে আমরা একদিকে যেমন গ্রামীণফোন একাডেমির মতো উদ্যোগ হাতে নিয়েছি, অন্যদিকে তাদের মননশীলতার বিকাশে আছি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়ার মতো কর্মসূচির পাশে। বইপড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে এবং আলোকিত সমাজ গঠনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজকের এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান, যার সাথে গত ২১ বছর ধরে সম্পৃক্ত রয়েছে গ্রামীণফোন। এমন একটি পদক্ষেপের সাথে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পক্ষে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এবং গ্রামীণফোনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব ইয়াসির আজমান এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের