
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ফুটবল খেলা দেখা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে যুবদল কর্মীর গুলিতে জামায়াতের দুই কর্মী আহত হয়েছেন। রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের তুলাচরা গ্রামের এই ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন- মো. সজীব হোসেন ও মো. তুষার। তারা তুলাচরা এলাকার বাসিন্দা। আহতরা জামায়াতের কর্মী বলে দাবি করেছেন বেগমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির আবু জায়েদ। ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমান।
জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের আলী হায়দার হাইস্কুল মাঠে স্থানীয় বিএনপি কর্মীরা একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে জামায়াতের কর্মী রাসেলের সঙ্গে বিএনপির কর্মী মানিকের বাকবিতণ্ডা হয়। বিবাদ মীমাংসার জন্য রোববার রাতেই ওই গ্রামে একটি সমঝোতা বৈঠক ডাকা হয়। ওই বৈঠকের সময় স্থানীয় যুবদল কর্মী হাবিব ও ছাত্রদলের কর্মী মহসিনের নেতৃত্বে সশস্ত্র মহড়া দেয় একদল লোক। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
উপজেলা জামায়াত আমিরের অভিযোগ, রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় লোকজন সমঝোতায় বসলে যুবদল কর্মী হাবিব ও ছাত্রদল কর্মী মহসিনের নেতৃত্বে লেদু, সোহেল, ফয়সাল, আশরাফ, হাসেম, মেরাজ ও মানিক জামায়াত কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে হাবিব এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে ওই দুজন গুলিবিদ্ধ হন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত যুবদল কর্মীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আজিম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে পরে জানাবো।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাজিব আহমেদ চৌধুরী বলেন, পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই যুবক রোববার রাতে হাসপাতালের অর্থপেটিকস ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) এএনএম ইমরান খান বলেন, হামলাকারী অবৈধ অস্ত্রধারী কয়েকজনের নাম পুলিশের হাতে এসে পৌঁছেছে। এ নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম