কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের জামায়াতে ইসলামীর এমপি প্রার্থী ইউসুফ হাকিম সোহেলের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে জমি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার বন্ধন ফুড অ্যান্ড বেভারেজের নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসাইনের স্ত্রী কানিজ ফাতিমা গতকাল বুধবার কুমিল্লা নগরীর একটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
কানিজ ফাতিমা বলেন, ‘আমি জুলাই যোদ্ধা সন্তানের মা। আমরা জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও এমপি প্রার্থী ইউসুফ হাকিম সোহেলের প্রতারণার শিকার।
ইউসুফ হাকিম সোহেল যদি ধর্মের লেবাসে আমাদেরই ঠকায়, তাহলে এমপি হয়ে জনগণকেও ঠকাবে।’ এ বিষয়ে ইউসুফ হাকিম সোহেল বলেন, ‘এসব অভিযোগ উঠিয়ে আমাকে হেয় করতে চাইছে।’
তিনি বলেন, আমার স্বামী মোহাম্মদ ফরহাদ হোসাইন বন্ধন ফুডস অ্যান্ড বেভারেজের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে কোম্পানির চেয়ারম্যান ডা. মিজানুর রহমান সবুজ এবং এমডি নজরুল ইসলাম রাজনৈতিক কারণে গা ঢাকা দেন।
তখন কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমার স্বামী মোহাম্মদ ফরহাদ হোসাইন ও ড. মহসিন রেজাকে সব কার্যক্রম পরিচালনা তথা জমি কেনাবেচার ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়। যেহেতু ৫ শতাধিক শেয়ারহোল্ডারের মধ্যে আয়-ব্যয় বণ্টনের সিদ্ধান্তে অটল ছিলাম। কিন্তু জামায়াতের এমপি প্রার্থী ইউসুফ হাকিম সোহেল আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করে ২০২২ সালে কোম্পানির চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান সবুজ ও এমডি নজরুল ইসলামের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিজেকে চেয়ারম্যান এবং তার ছোট ভাই মোহাম্মদ মুসা শাকিলকে এমডি ঘোষণা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভুয়া মালিক সাজে। এ কোম্পানির সব শেয়ারহোল্ডারের অজান্তে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসাইন ও পরিচালক ড. মহসিন রেজার স্বাক্ষর জাল করে কোম্পানির দাউকান্দির ইলিয়টগঞ্জের ১৫৬ শতক জমি তার বাবা আবদুল হাকিমের নামে লিখে নেন।
আমরা এ বিষয়ে আদালতের শরণাপন্ন হই। আমাদের এমডি নজরুল ইসলাম হাই কোর্টে রিট করেন। এ ছাড়া ভুয়া দলিলের বিরুদ্ধে আমার স্বামী কুমিল্লার আদালতে মামলা করেন। বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আমরা তার সঙ্গে কয়েকবার বসার চেষ্টা করেও কোনো সমাধান পাইনি। ৫০০ শেয়ার হোল্ডারের জমি উদ্ধার না হলে প্রত্যেকটি পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
আমরা চাই ইউসুফ হাকিম সোহেল যেন আমাদের সম্পদ বুঝিয়ে দেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

